নিজস্ব প্রতিবেদক: গজারিয়ায় দাদা কর্তৃক চার বছরের নাতনিকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি জানাজানি হলে ক্ষোভের সঞ্চার হয় গোটা এলাকায়। খবর পেয়ে অভিযুক্ত দাদাকে আটক করেছে পুলিশ।
ভুক্তভোগী শিশুর বয়স চার বছর। সে গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের বাসিন্দা।
শিশুটির মা বলেন, তার শ্বশুরের চরিত্র ভালো নয়। ইতোপূর্বেও বেশ কয়েকবার তার দিকে কুনজর দিয়েছিল তার শ্বশুর। শিশুটির বাবা ঢাকায় একটি ফার্নিচার দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করেন। তিনি তার মেয়েকে নিয়ে একাই বাসায় বসবাস করেন।
এদিকে বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আশপাশের লোকজন না থাকায় শিশুটিকে তার ঘরে ডেকে নেয় তার দাদা। এ সময় সে শিশুটির ওপর পাশবিক নির্যাতন চালানোর চেষ্টা করে। সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে শিশুটি তার কাছে এসে কান্না করতে থাকে। শিশুটি তীব্র ব্যথা অনুভব করেছে জানালে তিনি শিশুটির জামা কাপড়ে রক্ত দেখতে পান। তিনি বিষয়টি আশপাশে লোকজনকে জানিয়ে শিশুটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
গজারিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই খালেদ উদ্দিন বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে যাই এবং অভিযুক্ত দাদাকে (৬৫) আটক করে গজারিয়া থানায় নিয়ে আসি।
গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. তাপসী জান্নাত বলেন, শিশুটির পরিবার সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি তার প্রাইভেট পার্টে ব্লিডিং হয়েছে। হাসপাতালে আনার পরে আমরা প্রাথমিকভাবে পর্যবেক্ষণ করেছি আমার কাছে মনে হয়েছে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা দরকার। তাকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গজরিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুক্তার হোসেন বলেন, শিশুটির মা বাদী হয়ে গজারিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার শিশুটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে।