রাণীশংকৈলে টিভির অনুষ্ঠান দেখেই বড়ই চাষে সফলতার পথে হাটছেন কৃষক
ভোরের খবর ডেস্কঃ দেশে এখন টক-মিষ্টি, দেশি ও উন্নত জাতের বরই চাষ হচ্ছে। আর এই বরই শীতকালীন ফসল হিসেবে চাষে ঝুঁকছে উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলের কৃষকরা।
গত দুই বছর আগে টিভিতে 'কৃষি দিবানিশি' নামক এক অনুষ্ঠানে বরই চাষের উপর একটি প্রতিবেদন দেখে বরই চাষে উদ্বুদ্ধ হন রাণীশংকৈল উপজেলার করনাইট গ্রামের কৃষক আমানুল্লাহ আমান।
অনুষ্ঠান দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে কৃষক আমান তার পাঁচ বিঘা জমিতে বিভিন্ন জায়গা থেকে কাশ্মীরি আপেল কুল ও বল সুন্দরী কুলের ৪৩০ টি চারা সংগ্রহ করে রোপণ করেন। চারা রোপণের ৬ মাস পরেই ফুল আসতে শুরু করে। বর্তমানে তার গাছে গাছে দুলছে থোকাই থোকাই বরই। এমন দৃশ্য যেন চোখ জুড়িয়ে যাওয়ার মত। দূরদূরান্ত থেকে অনেকেই আসছেন তার বরই বাগান দেখার জন্য ।
রফিকুল ইসলাম নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, আমান ভাই যে বাগানটি করেছে এটি তার ভালো একটি উদ্যোগ। আমি মাঝে মাঝেই তার বাগান দেখার জন্য আসি। এবার গতবছরের তুলনায় বরই এর ফলন বেশি ভালো হয়েছে।
তিনি আরও আমিও পরিকল্পনা করছি আমার কিছু পতিত জমি আছে সেখানে বরই ও মাল্টা চাষাবাদ করব।
কৃষক আমানুল্লাহ আমান জানান, টিভিতে প্রতিবেদন দেখে আমারও ইচ্ছে জাগে বরই চাষ করার। আমার অন্যান্য চাষাবাদের পাশাপাশি বাড়ির পাশে ৫ বিঘা জমিতে বিভিন্ন জায়গা থেকে বরই চারা সংগ্রহ করে রোপণ করি। গতবারের থেকে এবার বরই এর ফলন বেশি ভালো হয়েছে। গত বছর এ বাগান থেকে আমি সব মিলিয়ে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকার মতো বরই বিক্রয় করেছি। এবার যে ফলন হয়েছে আবহাওয়া যদি অনুকূলে থাকে তাহলে গত বছরের থেকে এবার বেশি লাভবান হতে পারবো ।
রাণীশংকৈল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সঞ্জয় দেবনাথ জানান, দিন দিন এ উপজেলায় বরই চাষ বাড়ছে। যা ৮ হেক্টর জমিতে বরই চাষাবাদ হচ্ছে। যারা এ ফসল চাষে আগ্রহী তাদের নানাভাবে পরামর্শ ও চারা সংগ্রহের বিষয়েও সহযোগিতা করা হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ এ্যাড. নজরুল ইসলাম । ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দৈনিক ভোরের খবর,খন্দকার এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান। অফিসঃ ১৫০ নাহার ম্যানসন (৫ম তলা) মতিঝিল বানিজ্যিক এলাকা,ঢাকা -১০০০। বার্তাকক্ষ-+৮৮০১৭৪৫-৩৫৪২৭৭
প্রকাশিত সংবাদপত্রের অংশ