কমলনগর, লক্ষ্মীপুর : ইটভাটার অনিয়ম ধরার অজুহাতে কমলনগর উপজেলাব্যাপি সাংবাদিদের নীরব চাঁদাবাজি চলছে।
প্রেসক্লাব পরিচয় দিয়ে ২-৩ জন সাংবাদিক কমলনগরের বিভিন্ন ইটভাটা থেকে চাঁদা তুলতে শুরু করেছে। এই চাঁদাবজরা টাকা কম হলে হুমকিও দিচ্ছে জায়গা বিশেষ স্থানে। অনেকে ভয়ে মুখ খুলছেন না। তারা আপসে মেটাচ্ছেন চাঁদাবাজদের দাবি। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, এরা সবাই পরিচিত কিংবা মুখ পরিচিত। চাদা নিয়ে সবাইকে বলে কোন সাংবাদিক যেন আপনাদের কোন অনিয়মের নিউজ না করে সকলকে আমরা নিয়ন্ত্রন করবো।
যে কারণে পুলিশে অভিযোগ করেন না তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাদিক ইটভাটা মালিক জানান, শীতের শুরু থেকেই শুরু হয়েছে টাকা নেওয়া । না দিলে রেহাই নেই। ব্যাবসার রিস্ক থাকে। প্রতিবার চাঁদা দিয়ে আসছেন কিন্তু এবার উৎপাত একটু বেড়েছে। এদিকে চাঁদাবাজদের উৎপাতে রীতিমতো অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। তিনি জানিয়েছেন, চাঁদার পরিমাণ বেড়ে তিনগুণ হয়েছে। এ ব্যাপারে কমলনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, কিছু সাংবাদিক বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি করছে বলে অভিযোগ পেয়েছেন ।
এ সকল চাদাবাজ সাংবাদিক প্রতিহত করতে কমলনগরের সকল সাংবাদিকদের নিয়ে উপযুক্ত প্রমান সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যাবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কমলনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মহোদকে জানাবো ।
তিনি আরও বলেন-সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা । সাংবাদিক পরিচয়ে কেউ চাদাবাজি করে এই পেশাকে কলুশীত করবে তা হতে পারেনা। আমরা ন্যায়ের পক্ষে আছি থাকবো। কমলনগরে যদি আমরা থাকি তবে কোনো চাঁদাবাজ সাংবাদিক থাকতে পারবে না। চাঁদাবাজ যেই হোক, সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনের সহযোগীতা নিয়ে আইনের আওতায় নিয়ে আসা উচিৎ । কোন সাংবাদিক টাকা দাবী করে হুমকি ধামকি দিলে তাৎক্ষণিক ভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং কমলনগর থানার অফিসার ইনচার্জকে জানানোর জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ এ্যাড. নজরুল ইসলাম । ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দৈনিক ভোরের খবর,খন্দকার এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান। অফিসঃ ১৫০ নাহার ম্যানসন (৫ম তলা) মতিঝিল বানিজ্যিক এলাকা,ঢাকা -১০০০। বার্তাকক্ষ-+৮৮০১৭৪৫-৩৫৪২৭৭