আপন সরদার মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মুন্সীগঞ্জের লৌহজং ও টঙ্গীবাড়ী উপজেলায় নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। গত কয়েকদিনের ভাঙ্গনে লৌহজংয়ের তেউটিয়া ইউনিয়নের বড় নওপাড়া গ্রামের ৯ টি বসত ঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে এছাড়া টঙ্গীবাড়ী উপজেলার হাসাইল বানারী ইউনিয়নের পদ্মা তীরবর্তী চরাঞ্চলের প্রায় তিন কিলোমিটার ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে এছাড়া ঝুঁকিতে রয়েছে স্কুল মসজিদ ও বসতবাড়ি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে উপজেলার হাশাইল বানারী ইউনিয়নের পদ্মা নদীর দক্ষিনে চরাঞ্চলের প্রায় ৩ কিলোমিটার ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বৈদ্যুতিক খুঁটি হেলে পড়ে আছে যেকোনো সময় বৈদ্যুতিক তার থেকে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।অপরদিকে নদীর উত্তর পাশে স্রোতের তোড়ে নদীতীর রক্ষা বাঁধের বিভিন্ন অংশে সিসি ব্লক ধসে যাওয়ায় হুমকিতে রয়েছে মসজিদ-মাদ্রাসা, স্কুল সহ বসত বাড়ি।হাশাইল বানারী ইউনিয়নের মন্টু বেপারীর বসত বাড়ির প্রায় ২৫-৩০ ফিট জায়গা পদ্মায় বিলীন হয়ে যায়। খুব দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আশে পাশের দাতারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,হাশাইল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ,মাদ্রাসা সহ বসত বাড়ি গুলো ক্রমশই পদ্মায় বিলীন হওয়ার ভয়ে আছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা আক্ষেপ করে বলেন, অবৈধ ড্রেজিং এর কারনে চলমান বর্ষায় প্রকৃতি এই রুদ্র মূর্তি ধারন করেছে। ভবিষ্যৎ নিয়ে সংকির্ন তারা।পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী নরেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী জানান, ভাঙ্গন ঠেকাতে ইতিমধ্যে জিও ব্যাগ ফালানোর কাজ শুরু হয়েছে।মুন্সীগঞ্জ ২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপিকা সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি বলেন, পদ্মা সেই ৯০ দশকের মত রুদ্রমূর্তি ধারণা শুরু করছে। ভাঙ্গনরোধে তাৎক্ষনিক পানি মন্ত্রণালয়ের সাথে থাকা দুই মন্ত্রীর সাথে কথা হয়েছে। তারা জরুরি বরাদ্দ দিয়ে কাজ শুরু করেছেন। তিনি আরো বলেন পদ্মায় বালু কাটা ও বালুবাহী বাল্কহেডের চলাচলের কারনে ভাঙ্গন বেড়েছে।