সেনাবাহিনীর সৈনিক শাকিল আহম্মেদ (২৩) এক সপ্তাহের ছুটি নিয়ে গত শুক্রবার শ্বশুরবাড়িতে এসেছিলেন। রোববার দুপুরে মা-বাবার সঙ্গে দেখা করার জন্য নিজ বাড়িতে আসার কথা ছিল। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাবা আবদুল মজিদ মুঠোফোনে কল দিলে বলেছিলেন, ‘দরকারি কাজে শিবগঞ্জ আছি, একটু পর বাড়ি ফিরছি।’
ছেলের জন্য অপেক্ষা করছিলেন বাবা আবদুল মজিদ। পছন্দের খাবার রান্না করেছিলেন মা খুকিনা বেগম। ‘বাবায় আমার বাড়িতে ঠিকই ফিরেছে, তবে লাশ হয়ে’, কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলছিলেন আবদুল মজিদ।
সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে মুঠোফোনে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তখন তিনি গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানা থেকে ছেলের লাশ নিয়ে শিবগঞ্জ উপজেলার পীরব ইউনিয়নের কমলিহার গ্রামে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন।
রোববার বেলা আড়াইটার দিকে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে শিবগঞ্জ উপজেলার রহবল বাজারে পাবনাগামী নবীনবরণ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের চাপায় শাকিলসহ দুজন নিহত হন।