টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ১০ বছরের শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশু কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার দুপুরে উপজেলার বেকড়া ইউনিয়নের বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
ধর্ষণকারী ওই বাজারের মুদি দোকানি মৃত জিতেন্দ্র চন্দ্র দাসের ছেলে কৃষ্ণ দাস (৫৫)। এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা থানায় অভিযোগ দায় করেন। তবে ধর্ষণের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তৎপর এলাকার প্রভাবশালীরা।এলাকাবাসী ও ভিকটিম জানান, মেয়েটি মশুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী। সে একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী। তার বাবা চা বিক্রি করে কোনো রকম সংসার চালায়। প্রতিদিন দুপুরে মেয়েকে দোকানে বসিয়ে রেখে বাড়িতে খাবার খেতে যায়। এদিন মেয়ে রেখে জুমার নামাজে চলে গেলে কৃষ্ণ দাস নিজ দোকান থেকে বের হয়ে ওই চা দোকানে আসে। নামাজের সময় বাজারে লোকজন না থাকায় কৃষ্ণ দাস শিশু মেয়েটিকে ডেকে তার দোকানের ভিতর নিয়ে যায়।
ওই সময় চা খাওয়ার জন্য এক ব্যক্তি দোকানে আসলে দোকানদারকে না পেয়ে একটু সামনে কৃষ্ণ দাসের দোকানে পানি কিনতে গেলে দোকানের ভিতর থেকে মেয়েটির কান্নার শব্দ শুনতে পায়। তখন আশপাশের যুবকরা কৃষ্ণ দাসকে আটক করে। কৃষ্ণ দাস যুবকদের বলে মেয়েটি ভূষির জন্য তার দোকানে আসছিল। শিশু মেয়েটির কাছে ঘটনা শুনার ফাঁকে কৃষ্ণ দাস কৌশলে পালিয়ে যায়।
ভিকটিমের বাবা বলেন, আমার মেয়েটি শারিরিক প্রতিবন্ধী। আমি গরীব মানুষ চা বিক্রি করে খাই। আমার মেয়েকে যে ধর্ষণ করছে তার কঠিন বিচার চাই।
বেকড়া ইউপি চেয়ারম্যান শওকত হোসেন বলেন, আমি ঘটনা শুনে বেকড়া ভোর বাজারে আসি। মেয়েটির বাবা ও তার আত্নীয় স্বজন আমাকে ধর্ষণের বিষয়টি খুলে বলে। ভিকটিমের পরিবারকে দ্রুত নাগরপুর থানায় পাঠাই।
নাগরপুর থানার এসআই মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মেয়েটির বাবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। ভিকটিমের মেডিক্যাল করা হয়েছে। কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ এ্যাড. নজরুল ইসলাম । ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দৈনিক ভোরের খবর,খন্দকার এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান। অফিসঃ ১৫০ নাহার ম্যানসন (৫ম তলা) মতিঝিল বানিজ্যিক এলাকা,ঢাকা -১০০০। বার্তাকক্ষ-+৮৮০১৭৪৫-৩৫৪২৭৭