পঙ্গু জানে আলম দুটি পা হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে এমন দর্ভোগের চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পেরে মানবিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন বেড়ার সেচ্ছাসেবী সংগঠন "বেড়া মানব কল্যান সংস্থা"।গতকাল শুক্রবার সংস্থাটির পক্ষ থেকে তাকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন তারা । এমন উদ্যোগে ওই পরিবারটির চরম অভাব মোচনে পথে সহায়ক হবে বলে পরিবার ও এলাকাবাসী মনে করছেন। তাঁরা মানব কল্যান সংস্থার পরিচালক ও সকাল স্বেচ্ছাসেবীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সংস্থাটির সাফল্য কামনা করছেন। পঙ্গু ব্যক্তিকে দোকানের পণ্য ও নগদ অর্থ প্রদান করেন "বেড়া মানব কল্যান সংস্থা"।
জানা যায়, বেড়ার একঝাক মানবিক তরুন দেড় বছর আগে মানবসেবার ইচ্ছা নিয়ে " বেড়া মানব কল্যান সংস্থা" নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের আত্বপ্রকাশ ঘটান। শুরুতে সংস্থাটির পক্ষ থেকে ছোট ছোট মানবিক কাজের মাধ্যমে এলাকার মানুষদের কাছে নিজেদের তৈরি করেন মানবিক মানুষ হিসেবে।অনেক মানুষ সেটিকে ইতিবাচক হিসেবে গ্রহন করলেও কিছু মানুষের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ও সমালোচনার মধ্যে পড়েন তরুনেরা।সকল সমালোচনা উপেক্ষা করে কোন সময় শীতার্ত মানুষে পাশে আবার কোন সময় পানিবন্দী মানুষকে উদ্ধার করেছেন।এলাকার অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাথেও নিজ সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীদের যুক্ত করেছেন। মানবিক কাজে আলোচনা থাকা সংগঠনটি উপজেলাবাসীর নজর কারতে সক্ষম হন করোনাকালীন সময়ে। সে সময় তারা ১০-১২ টি অক্সিজেন সিলিন্ডার ও জীবন বাজিরাখা স্বেচ্ছাসেবীদেরকে দিনরাত প্রস্তুত রেখেছেন মানব সেবায়। করোনা আক্রান্ত মানুষের কাছে আপন হিসেবে এ সকল স্বেচ্ছাসেবীরা ছিল আস্থার জায়গায়। স্বেচ্ছাসেবীরা করোনা আক্রান্তের ভয়কে উপেক্ষা করে সেই সকল মানুষের মুখে অক্সিজেন লাগিয়ে দিতেন নিজ হাতে।এলাকার সুহৃদ ও দানশীল মানুষের অনুদান আজ আদম্য ও সাহসী সংগঠন হিসেবে "মানব কল্যান সংস্থা "আজ পীরিত মানুষে আবেদনের স্থান করে নিয়েছে।
এমন মানবিক সাহায্য পেয়ে জানে আলম সওদাগর বলেন স্ত্রী ও চার সন্তান নিয়ে শুখের সংসারের অন্ধকার নেমে আসে বছর চারেক আগে।একটি দুর্ঘটনায় একে একে দুটো পায়ে পচন ধরলে জীবন বাঁচাতে ডাক্তারেরা তার পা দুটি কেটে ফেলেন। সে সময়ে চিকিৎসা করতে গিয়ে জীবনের সকল সম্পদ হারিয়ে ফেলেন তিনি। সেই সাথে হারিয়ে ফেলেন কাজ করার শক্তি।এখন বাড়ির আঙ্গিনায় শুয়ে-বসে থেকে অন্যের সাহায্যের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয় তাকে।এমন অবস্থায় মানব কল্যানের ভাইয়েরা তাকে সাহায্য করেছে তারা একটি কর্মের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন এ জন্য তিনি শুকরিয়া আদায় করেন । তিনি সবার সহযোগিতার মধ্যে দিয়ে নতুন ভাবে বাঁচার প্রেরণা পেয়েছেন।
মানব কল্যান সংস্থার সমন্বয়ক মানিক হোসেন, পরিচালক খাজা মঈন উদ্দিন বলেন, তারা এমন একটি মানুষের মানবেতর জীবন নিয়ে ফেসবুক ও স্বেচ্ছাসেবীদের মুখ থেকে শুনে এগিয়ে এসেছেন।তারা তাকে কর্মের পথের সোপান বুনে দিলেন।তারা আশা করছেন সে তার পুর্বের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে কর্মের মাধ্যমে জীবন পরিচালনা করবেন। প্রয়োজনে মানব কল্যানের কর্মীরা সবসময় পাশে থাকবে।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ এ্যাড. নজরুল ইসলাম । ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দৈনিক ভোরের খবর,খন্দকার এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান। অফিসঃ ১৫০ নাহার ম্যানসন (৫ম তলা) মতিঝিল বানিজ্যিক এলাকা,ঢাকা -১০০০। বার্তাকক্ষ-+৮৮০১৭৪৫-৩৫৪২৭৭