মানিকগঞ্জের সিংগাইর পৌরসভায় পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মাণ প্রকল্প নির্ধারিত সময়ে ৪০ ভাগ কাজও শেষ হয়নি। ধীরগতিতে ড্রেন নির্মানের ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন পৌরবাসী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিঙ্গাইর পৌরসভায় পানি নিষ্কাশনের জন্য ৪ ফুট দৈর্ঘ্য ও সাড়ে ৬ কিলোমিটারের ড্রেন নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করা হয়। ৮ কোটি ৩৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ড্রেন নির্মাণের কাজ পায় মেসার্স জে.বি এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। ২০২০ সালের মে মাসের ২০ তারিখে কার্যাদেশ পায় প্রতিষ্ঠানটি।
চুক্তি অনুযায়ী প্রকল্পের কাজ ১৮ মাসে শেষ করার কথা থাকলেও দুই বছরে শেষ হয়েছে মাত্র ৩০ শতাংশ। এতে জলাবদ্ধতা ও যানজটে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন পৌরবাসী। ড্রেন নির্মাণের প্রকল্পটির তদারকি করছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর পৌর বাজারের ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘সিঙ্গাইর পৌরসভার ড্রেনগুলো ময়লা আর্বজনায় বন্ধ হয়ে গেছে। একটু বৃষ্টি হলেই সড়কে পানি জমে। ফলে চলাচলে অসুবিধা হয়। ড্রেনগুলো পুনরায় নির্মাণ করায় পৌরবাসী খুশি হয়েছিলেন। কিন্তু কাজের ধীরগতির কারণে পৌরবাসীর ভোগান্তি আরো বেড়েছে।’
হাবিবুর রহমান নামে অপর একজন বলেন, ‘ড্রেনগুলো খুড়ে এর ময়লা এবং ড্রেনের নির্মাণ সমগ্রী সড়কের অংশে রাখায় রাস্তাগুলো আগের চেয়ে ছোট হয়ে গেছে। এতে প্রতিদিনই রাস্তায় যানযট লেগেই থাকে। এছাড়া সিঙ্গাইর পৌরসভায় সপ্তাহে দুই দিন হাট বসে। হাটের দুই দিন সড়কে পা ফেলার জায়গা থাকে না।’
সিঙ্গাইর পৌরসভার মেয়র আবু নাঈম মো. বাশার বলেন, ‘পৌরসভার ড্রেন নির্মাণের কাজের ধীরগতির কারণে পৌরবাসী চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বিষয়টি আমি জেলা ও উপজেলা মাসিক সভায় তুলে ধরে এর প্রতিকার চেয়েছি। কিন্তু কোনো ফল হচ্ছে না। বর্তমান প্রকল্পটির প্রায় ৩০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। টিকাদার প্রতিষ্ঠানটিকে বারবার তদারকি করেও কাজের গতি আসছে না।’
ঠিকাদার কাজী শওকত হোসেন বলেন, ‘ড্রেনের পাশে প্রচুর গাছপালা ও দেওয়াল থাকায়এগুলো অপসারণের কারণে কাজ করতে সময় লাগছে। এছাড়া পূর্বের মেয়র সাহেবের অসহযোগীতার কারণে কাজটি করতে সময় লাগেছে।’
সিংগাইর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. রিফাতুল ইসলাম বলেন, ‘ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স জে.বি এন্টারপ্রাইজকে কাজের গতি বাড়াতে তাগাদা দেওয়া হচ্ছে। আশা করছি খুব দ্রুবত প্রকল্পটির কাজ শেষ হবে।’