সিলেট জেলার কানাইঘাট উপজেলার প্রায় সবকটি ইউনিয়নে অসংখ্য মানুষের ঘর-বাড়ি বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। অগণিত প্রবাসীদের পরিবার পানি বন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। বন্যার পরিস্থিতি নিয়ে প্রবাসীদের দুশ্চিন্তার শেষ নেই, কারন অনেক প্রবাসীর পরিবারের রয়েছে শুধু মহিলা সদস্য, যাতায়াত ব্যবস্থার অসুবিধা, রাস্তা ঘাট পানির নিচে থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয় করা যাচ্ছে না। অনেক বাড়ির ঘরের ভিতর পানি থাকায় খুবই কষ্ট করতে হচ্ছে তাদেরকে। সেইসবের খবরা-খবর নিয়ে অনেক দুশ্চিন্তার মধ্যে বসবাস করতেছেন কানাইঘাট উপজেলার প্রবাসীরা।
গত ৪/৫ দিন ধরে নয়টি ইউনিয়নের মানুষ পানি বন্দি, অনেকের পরিবারে নেই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি। বিভিন্ন স্থানে নেই ইলেকট্রিসিটি, এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়ার জন্য নেই কোন যাতায়াত ব্যবস্থা। ইউনিয়নের নিম্নবিত্ত পরিবারগুলোর অসহায়ত্ব কেউ দেখার নেই। প্রবাসীদের পরিচালিত বিভিন্ন সংগঠন ত্রাণ সহায়তায় এগিয়ে আসলেও তাহা কিন্তু চাহিদার অনেক কম। সরকারি ত্রাণ তুলনামূলক অনেক কম হওয়ায় কারনে জনগণ খুবই কষ্টের মধ্যে দিন রাত পার করছে। কানাইঘাট উপজেলার সুরমা নদীর ডাইক বহুদিন ধরে মেরামত হয়নি বলে ভারতের আসাম অঞ্চলের পানি এসে সুরমা নদীর বিপদ সীমা অতিক্রম করে বিভিন্ন ডাইক ভেঙ্গে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে পানি প্রবাহিত হয়েছে। অনেকে বাড়ি-ঘর ভেঙে নিয়েছে সুরমা নদীর ডাইক ভাঙা স্রোতে। বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া ত্রাণ চাহিদার তুলনায় অত্যন্ত কম, নেই সরকার দলীয় সংসদ সদস্য সহ, বিত্তশালী নেতাদের সহায়তা। বিরোধী দলীয় অনেক নেতৃবৃন্দ চেষ্টা করে যাচ্ছেন বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে। অনেক সামাজিক সংগঠন এগিয়ে এসেছে সহায়তার হাত বাড়িয়ে। অত্র এলাকার প্রবাসীরা বিভিন্ন মাধ্যমে সহায়তা করে যাচ্ছেন পানি বন্দি মানুষকে। বন্যাকে মোকাবিলা করতে হিমশিম খাচ্ছেন স্থানীয় প্রতিনিধিরা। বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান-মেম্বার মানবিক সহায়তার জন্য সহযোগিতা চাচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে প্রবাসী সহ বিত্তবানদের কাছে। গতকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ধীরে ধীরে পানি কমতে শুরু করেছে।
স্থানীয় জনগণ সহ প্রবাসীদের দাবী, অনতিবিলম্বে সরকারের দেওয়া ত্রাণের পরিমাণ বৃদ্ধি করা হোক। গরীব দুঃখী মেহনতি মানুষের ভেঙ্গে যাওয়া ঘর-বাড়ি নির্মাণের জন্য নগদ অর্থ দেওয়া হোক। বন্যা পরবর্তীতে সুরমা নদীর ডাইক মেরামত করা হোক। যাহাতে আগামীতে এমন পরিস্থিতি না ঘটে, সুরমা নদীর পানি যেন ডাইক ভেঙ্গে নদীর পারে বসবাসরত মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত না করে।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ এ্যাড. নজরুল ইসলাম । ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দৈনিক ভোরের খবর,খন্দকার এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান। অফিসঃ ১৫০ নাহার ম্যানসন (৫ম তলা) মতিঝিল বানিজ্যিক এলাকা,ঢাকা -১০০০। বার্তাকক্ষ-+৮৮০১৭৪৫-৩৫৪২৭৭