বাম গণতান্ত্রিক জোট ছাড়লো বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও গণসংহতি আন্দোলন। বুধবার বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি গণমাধ্যমকে বাম জোট ছাড়ার তথ্য নিশ্চিত করেন। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও গণসংহতি আন্দোলন মনে করে, বাম জোটের মাধ্যমে আন্দোলন করে ‘সরকার পতন সম্ভব নয়’। জোটের আন্দোলনের কৌশলগত দিক নিয়েও প্রশ্ন ছিল তাদের। সেই মতানৈক্যের কারণে তারাই জোটের সদস্য পদ স্থগিত করতে বলেছিলেন। মঙ্গলবার জোটের বৈঠকে দুই দলের সদস্য পদ স্থগিত করা হয়।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায়ের কৌশল নিয়ে আমাদের মতপার্থক্য রয়েছে। ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ে সব বাম, গণতান্ত্রিক শক্তিকে বৃহত্তর আন্দোলন ও তার ভিত্তিতে আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলার তাগিদ থেকেই আমরা বাম জোটের সদস্য পদ স্থগিত রাখতে বলেছি।
জানা যায়, নির্বাচন সামনে রেখে আরও পাঁচটি দলের সঙ্গে মিলে নতুন রাজনৈতিক মঞ্চ গড়ার প্রক্রিয়ায় আছে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও গণসংহতি আন্দোলন। গত নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টে থাকা নাগরিক ঐক্য, জেএসডি ছাড়াও রেজা কিবরিয়া ও নুরুল হক নূরের দল গণঅধিকার পরিষদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদ ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন থাকছে সেই মঞ্চে।
মঙ্গলবার প্রায় দেড় ঘণ্টা বৈঠক করেন জোটের নেতারা। সেখানে সার্বিক বিষয়ে আলোচনার পর বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও গণসংহতি আন্দোলনের নেতাদের বলা হয়, যে কোনো একটি জোটে থাকতে হবে। দুই জোটে থাকার সুযোগ নেই
পরে জোটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও গণসংহতি আন্দোলনের বামজোটের সদস্য পদ স্থগিত রাখা হয়।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাম জোট কোনোভাবেই ফ্যাসিবাদী সরকার পতনের জন্য গণতান্ত্রিক বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলতে পারছে না। বৃহত্তর গণতান্ত্রিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হলে এর বাইরে গিয়ে গণতান্ত্রিক মঞ্চ তৈরির মাধ্যমে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। তাতে বাম জোটের নেতাদের আপত্তি ওঠে, যার ফলে আমরা নিজেরাই বলেছি আমাদের সদস্য পদ স্থগিত রাখতে।
নতুন মঞ্চের বিষয়ে সাকি বলেন, আমরা বাম জোটের বাইরে গিয়ে গণতান্ত্রিক মঞ্চ তৈরি করতে আরও পাঁচটি দলকে সঙ্গে নিয়েছি। তবে বামজোটও আমাদের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবে, যদি তারা মনে করেন।