পাবনার বেড়া উপজেলার বৃশালিখা গ্রামের আলভী সজিব। ইঞ্জিনিয়ারিং কমপ্লিট করে করোনা মহামারির সময় ঢাকায় চাকরি না পেয়ে ছুটে আসেন গ্রামে। গ্রামের অসহায় হত-দরিদ্র মানুষের দুঃখ, দূর্দশা দেখে মনে প্রবল ইচ্ছা জাগে পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্যের হাত বাড়াতে। বেকারত্বকে পিছিয়ে ফেলে সিদ্ধান্ত নেয় অভিনব কৌশলের। বাড়ির পাশেই প্রায় ২.৫ একর জমিতে চাষ করেন সূর্যমুখী ফুলের। প্রবল ইচ্ছা আর অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ইচ্ছাশক্তিতে তার এই কাজে সাহায্য করেছেন বেড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাও।
আলভী জানান, সূর্যমুখী চাষ পাবনায় তার বাগানটি দ্বিতীয়। বাগানে ফুল ফোটার শুরু থেকেই দর্শনার্থীদের আগমন ছিল বেশ মুখোর। সকলের উতসাহ আর উদ্দীপনা পাচ্ছি।
সকলের উতসাহ নিয়ে পরবর্তীতে আকর্ষণীয় ভাবে এই অভিনব প্রন্থায় সামনে এগিয়ে যেতে চান সে।
বাগানের এমন মুখোর পরিবেশ দেখে সন্তুষ্ট এলাকাবাসী ও।
সূর্যমুখী বাগানে প্রবেশ মূল্য হিসাবে টিকেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ টাকা। সেখান থেকে কিছু ব্যবহার হবে হত-দরিদ্র অসহায় মানুষের কল্যাণে। বাকী অর্থ ব্যবহার হবে পরবর্তীতে তার উন্নত জাতের কৃষি কাজের জন্য। অসহায় মানুষের জন্য নিজের এই প্রচেষ্টা সমাজে বেশ সাড়া ফেলেছে।
সচেতন মহল তরুণ উদ্যোক্তা আলভী সজিবের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, তার এমন উদ্যোগ আসলেই প্রশংসিত। যা পরবর্তীতে সমাজের কল্যাণ বয়ে আনতে সাহায্য করবে।
এদিকে আলভী সজিবের কঠোর পরিশ্রমের ফসল হিসাবে গরিবের মুখে হাসি ফুটানোর এমন অভিনব প্রন্থার সাথে তাল মিলিয়ে তার বাগান জুড়ে বাতাসের সাথে দোল খাচ্ছে সূর্যমুখী ফুল। সেই ফুটন্ত ফুলের জীবন্ত হাসিই বয়ে আনবে উদ্যোক্তা আলভী সজিবের একান্ত প্রচেষ্টাময় হত-দরিদ্র মানুষের অনাবিল শান্তি।