সোনাতলা উপজেলার আড়িয়ারঘাট সেতুর কাজ শুরু হলেও দীর্ঘ সময় ব্যয় করায় জনভোগান্তি বেড়েই চলছে। কাজ শুরু করা হলেও তা যেনো পিছিয়ে যাচ্ছে বার বার। আর ঠিকেদারেরা লাখ-লাখ টাকা হাতিয়ে পকেট ভাড়ি করেই নীরবা পালন করছে ।
১৯৯৩ সালে সোনাতলা উপজেলা শহরের অদুরেই বাঙ্গালী নদীর উপর ২৯৮ মিটার দৈর্ঘের একটি বেইলি ব্রীজ তৈরি করা হয়। এতে কয়েক অঞ্চলের লাখো মানুষের পারাপারের সুবিধা হয়।
এছাড়া জেলা ও উপজেলা শহরের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি হওয়ায় নদী কবলিত এলাকা গুলোও শহরে পরিনত হয়েছে। তবে এই ব্রীজটির প্রস্থ কম হওয়ায় দুটো গাড়ি একসাথে যাতায়াত করতে পারেনা তাই ভোগান্তি দুর করতে প্রস্থ বাড়িয়ে নতুন করে আরসিসি ঢালাই ব্রীজের কাজ শুরু হয়েছে। ব্রীজটি এবার ২৯৮ মিটার দৈর্ঘ এবং ১৮ ফিট প্রস্থ করা হচ্ছে এতে করে একই সাথে বড় গাড়িগুলোও যাতায়াত করতে পারবে।
ব্রীজটি ভেঙ্গে ফেলায় সাধারণ মানুষগুলোর ভোগান্তি চরমে উঠেছে। প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার মানুষ জীবনের ঝুকি নিয়ে বাধ্য হয়ে ছোট দুটি নৌকায় পারাপার হতে হচ্ছে তাদের। বীগত বন্যার সময় কয়েক দফায় নৌকা ভর্তি যাত্রি নিয়ে ব্রীজের পিলারের সাথে নৌকাটি ধাক্কা লাগলেও অল্পের জন্য বেঁচে যায় যাত্রীরা। তবু কোন পদক্ষেপ নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
বর্তমানে কর্তৃপক্ষের ছোট দুটি নৌকা থাকলেও স্থানীয় প্রভাবশালীরা বড় দুটি নৌকা দিয়ে মানুষ, মোটর সাইকেল ও ভ্যান গাড়ি পারাপার করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। তবে নানা অযুহাত এনে প্রশাসন নিরব ভুমিকা পালন করছেন। দীর্ঘ দিনের এই সংস্কার কাজ চলাকালিন সময়ে ভাড়া নৌকায় পারাপার হলে সাধারণ মানুষগুলোর কারি কারি টাকা কাটবে ওই প্রভাবশালীরা।
এখানে কেমন নৌকা দেয়ার কথা ছিলো জানতে চাইলে একটি অর্ডার সিট দেখায় ঠিকাদারের এক সাব-ইঞ্জিনিয়ার। সেখানে বলা হয়েছে সাধারণ মানুষের পারাপারের জন্য বিনামূল্যে খেয়া পারাপারের ব্যবস্থা করা হবে। কবে হবে সেটি পরিষ্কার বলতে পারেননি তিনি।
এই পারাপারের বিষয়টি প্রথম অবস্থায় ছোট দুটি নৌকা দিয়ে দায় সাড়া হিসেবে পালন করলেও বর্তমানে তা’না করে ঠিকেদারের পক্ষ থেকে ভাড়ায় চালিত নৌকা দুটিকে সহযোগীতা করছেন বলে ধারনা স্থানীয়দের।