বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে পাবনায় বিএনপির সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল আজ । দীর্ঘদিন পর এমন একটি দলীয় সমাবেশে সকাল থেকে একে একে জমায়েত হতে থাকে জেলার সর্ব স্তরের নেতাকর্মীরা৷ এক সময় কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে শুরু হয় সমাবেশের মূল কার্যক্রম। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব এর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, যুগ্ম মহাসচিব হারন অর রশিদ এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুসহ কেন্দ্রীয় আরও নেতৃবৃন্দ।
কিন্তু মাঝখানে সমাবেশ ঠিকঠাক ভাবেই চলাকালে হঠাৎ বাকবিতন্ডায় জড়ান জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তসলিম হোসেন সুইট ও জেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মনির আহমেদ । এক পর্যায়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনেই মনির আহমেদকে ছুরিকাহত করা হয়। সংঘাতের ঘটনায় কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে উভয় পক্ষকে সড়িয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
পুলিশ গণমাধ্যমকে জানান, সোমবার দুপুরে পাবনার লাহিড়ীপাড়ায় কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে সমাবেশ শুরুর এক পর্যায়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হারুন অর রশিদ এমপির বক্তব্য প্রদান কালে তসলিম হোসেন সুইট ও মনির আহমেদের বাকবিতন্ডা শুরু হয়। কেন্দ্রীয় নেতারা তা বার বার থামানোর চেষ্টা করলে এক পর্যায়ে মনির আহমেদকে ছুরিকাহত করা হয়। পরে মনিরের লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দু’পক্ষকেই সড়িয়ে দেয়।
ঘটনার সত্যতা জানতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিবের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, পাবনা-৫ আসনের উপ নির্বাচনের সময় বিএনপির প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবের প্রচারণা চালানোর সময় গ্রুপিং কোন্দলে ছুরিকাহত করা হয় জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন ও সহ-সভাপতি ইমরান হোসেন সাব্বিরকে৷ অভিযোগ ছিল তসলিম হোসেন সুইটের নেতৃত্বেই হামলার স্বীকার হন তারা ।
দীর্ঘদিন ধরে পাবনায় দলীয় কোন্দলে জরাজীর্ণ শিরোনামে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছিল। তবুও কড়া ভাবে বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের উদাসীনতার কারণেই জেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের মধ্যে এমন কোন্দলে নিষ্ক্রিয়তা ও প্রতিহিংসার মূল কারণ বলে মনে করছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা ।