গভীর নিম্নচাপ, নিম্নচাপের পর ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ আরও দুর্বল হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে রূপ নিয়েছে। এটি ভারতের উড়িষ্যার পুরি উপকূল দিয়ে স্থলভাগে উঠার কথা থাকলেও তা হয়নি। এখনও সমুদ্র পথ ধরে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে বাংলাদেশের উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। এটি লঘুচাপ হিসেবে খুলনা-বরিশাল উপকূল দিয়ে বাংলাদেশের স্থলভাগে উঠতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের আবহাওয়াবিদরা।
‘জাওয়াদ’র প্রভাবে সারারাত ধরে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়েছে। সোমবার নগরবাসীর ঘুম ভেঙেছে বৃষ্টির শব্দে। টানা বৃষ্টির কারণে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন এলাকার ঘরবাড়িতে পানি ঢুকেছে, সড়কে জমেছে পানি। ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী।
সোমবার বরিশাল, খুলনা, চট্টগ্রাম, ঢাকা,রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
রোববার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৭৬ বৃষ্টি হয়েছে ফরিদপুরে। এ সময়ে ঢাকায় ৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক ভোরের খবরকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ আর নেই। এটি অনেক আগেই দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপের পর নিম্নচাপের পরিণত হয়েছে। এখন দুর্বল হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে রূপ নিয়েছে। এটি এখনও উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এটি এখনও স্থলভাগে ওঠেনি।
এটি লঘুচাপ আকারে বাংলাদেশের স্থলভাগে উঠতে পারে জানিয়ে ওমর ফারুক বলেন, ‘বাংলাদেশের খুলনা ও বরিশাল বিভাগের উপকূল দিয়ে এটি বাংলাদেশের স্থলভাগে উঠতে পারে। ভারতের উড়িষ্যার পুরি উপকূলে এটি উঠার কথা থাকলেও সেটি হয়নি। এটি সাগরে থেকেই দুর্বল হচ্ছে ক্রমাগত।’
তিনি আরও বলেন, ‘এর প্রভাবে আজকেও (সোমবার) সারাদেশে বৃষ্টি থাকতে পারে। আগামীকাল থেকে অবস্থার উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত আজকে রাতের দিকে কিংবা কালকে (মঙ্গলবার) সকালের দিকে প্রত্যাহার হতে পারে।’