পাবনার বেড়া পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে ৬ জন, কাউন্সিলর পদে ১০টিওয়ার্ডে ৫২জন ও সংরক্ষিত ৩টি ওয়ার্ড মহিলা কাউন্সিলর পদে ১৩জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন।গতকাল মঙ্গলবার (২নভেম্বা) মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার শেষ দিনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী বেড়া-সাঁথিয়ার(৬৮ পাবনা-১) এমপি এ্যাডভোকেট শামছুল হক টুকুর পুত্র এ্যাডঃ আশিফ শামস রঞ্জন ও এমপির ছোট ভাই বিদায়ী মেয়র আব্দুল বাতেন ও এমপির ভাতিজী ও তার সাবেক পুত্রবধু সাদিয়া আলম জেসিসহ পাঁচ জন প্রার্থী রয়েছেন। মনোনয়ন জমা দেয়া অপর প্রার্থীরা সবাই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত। জানাযায়,বেড়াপৌর নির্বাচনকে ঘিরে ক্ষমতাশীন দলের মধ্যে প্রকাশ্য দ্বন্দের সূচনা শুরু হয়েছে নির্বাচনী পক্রিয়া শুরু হওয়ার মধ্য দিয়ে। মনোনয়ন পত্র জমা দানের মাধ্যমে তা প্রকাশ্য রুপ লাভ করলো ।আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড থেকে যুবলীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য এ্যাডঃ আসিফ শামস রঞ্জনকে নৌকার মাঝি হিসেবে চুড়ান্ত করায় তিনিই নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে যাচ্ছেন। তার মনোনয়নের বিরোধীতা করে তার পরিবার থেকে দুজন প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু এখন এমপি পরিবারকে ঘিরে। রঞ্জনের বিরুদ্ধে তার আপন চাচা ও তার ছোট ভাইয়ের তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী (কাজিন বড়ো চাচার মেয়ে) মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ায় ঘরে বাইরে বিরোধীতার মুখে পড়েছেন তিনি। তিনি এসকল বিরোধিতা মোকাবেলা করে নৌকার বিজয়রথ উড়াতে সক্ষম হবেন নাকি বিজয়ের মালা ছিনিয়ে নেবেন বিদ্রোহী প্রার্থীরা এটাই আলোচনায় স্থান করে নিয়েছে। এদিকে তার আপন চাচা টানা বাইশ বছর ধরে অবস্থান করা সদ্য বিদায়ী মেয়র বেড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি থেকে অব্যাহতি পাওয়া আলহাজ্ব আব্দুল বাতেন নির্বাচন থেকে সরে গিয়ে নৌকার প্রার্থীকে (ভাতিজাকে) সমর্থন করবেন এমন গুঞ্জনকে উড়িয়ে দিয়ে তিনিও নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়ে ভাতিজা রঞ্জনকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন।সাথে ছোট ভাইয়ের তালাক দেয়া স্ত্রী সাদিয়া আলম জেরি(কাজিন বড় চাচার মেয়ে)সহ কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ডাঃআব্দুল আওয়াল, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আ,ফ,ম ফজলুর রহমান মাসুদ, সাবেক ছাত্রলীগনেতা ও অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা এমএ আব্দুল্লাহ আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন । প্রার্থীতা প্রত্যাহার যাচাই বাছাই ও প্রতীক বরাদ্দের পরই পরিস্কার হবে মেয়র পদে নৌকার সাথে প্রতিদ্বন্দীতায় কে থাকছেন আর কে থাকছেন না। আপাতত এ জনপদের আলোচনা চলছে চাচা- ভাতিজী- ভাতিজা মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন আগামী ২৮নভেম্বরের পৌর নির্বাচনে।