কুমিল্লার বুড়িচং থানায় তিশা গোল্ডেন বাসের চেকারকে মারধর করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় ষড়যন্ত্র করে একই রুটে সদ্য চালু হওয়া রয়েল সুপার পরিবহনের এক ব্যবসায়ীকে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে।
তবে আসল অপরাধীদের কে আড়াল করতে এবং রয়েল সুপার পরিবহন যেনো উক্ত রুটে ব্যবসা করতে না পারে সেজন্য এমন ষড়যন্ত্র হতে পারে বলে রয়েল সুপার পরিবহনের মালিক-শ্রমিকদের ধারণা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১০ ই নভেম্বর সকাল আনুমানিক ৮ঃ৪০ এর দিকে তিশা গোল্ডেন পরিবহনের চেকার বোরহান উদ্দিন ভুইয়া (৩৮) কর্মস্থলে গাড়ি চেকের জন্য গেলে একই পরিবহনের অপর চেকারগণের সহিত তার বাকবিতণ্ডা হয় এবং বোরহানকে তিশা গোল্ডেন পরিবহনের ১৪-৫৪১০ নম্বরের বাসে তুলে নিয়ে একটি ব্রিকফিল্ডের সামনে নামিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে আহত করে। আহত অবস্থায় তাকে সাধারণ মানুষ উদ্ধার করে নিকটস্থ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা শেষে বাসায় পাঠায়।
এক পর্যায়ে গত ১২ ই নভেম্বর সকালে বোরহান বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের সদস্যরা কুমিল্লা শহরের মুন স্পেশালাইজড হসপিটালে ভর্তি করান এবং সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বোরহান মৃত্যুবরণ করেন।
ঘটনাটিকে উল্লেখ্য করে পরিবারের পক্ষ থেকে কুমিল্লার বুড়িচং থানায় ১.খায়ের ২. খোরশেদ ৩. সহিদ ৪.ওমর ফারুক ও ৫. আক্তার হোসেন ভূইয়া সহ অজ্ঞাত আরও ৩/৪ জনকে আসামি করে বুড়িচং থানায় মামলা করা হয়।
যার মধ্যে ৪ নং আসামি হিসেবে উল্লেখ করা খন্দকার ওমর ফারুক একই রুটে (ঢাকা-কোম্পানীগঞ্জ-কুটি) সদ্য চালু হওয়া রয়েল সুপার পরিবহনের একজন মালিক এবং উক্ত রুটে অনেক বছর ধরেই তিনি নিজ মালিকানাধীন কয়েকটি বাস পরিচালনার মাধ্যমে ব্যবসা করে আসছেন। উল্লেখিত ঢাকা-কোম্পানীগঞ্জ-কুটি রুটে রয়েল সুপার পরিবহনের ব্যবসা বন্ধ করার হীন প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই মূলত এই মামলায় তাকে ফাঁসানো হয়েছে বলে উক্ত রুট সংশ্লিষ্ট পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের ধারণা।
মামলার এজাহারে উল্লেখিত ৪ নং আসামি খন্দকার ওমর ফারুককে পেশায় গোল্ডেন তিশা পরিবহনের চেকার দাবি করলেও তার সাথে উক্ত তিশা গোল্ডেন পরিবহনের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই।
বরং মামলার এজাহারে ৫ নং আসামি হিসেবে উল্লেখিত আক্তার হোসেন ভুইয়া তিশা গোল্ডেন পরিবহনের চেয়ারম্যান বলে জানা যায়।
উল্লেখ্য, কুমিল্লার আলোচিত তিশা গোল্ডেন বাসের চেকার বোরহান হত্যা মামলায় যাতে বিনা অপরাধের কোন ব্যক্তিকে হয়রানি না করা হয় এজন্য সংশ্লিষ্ট মহলের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন সচেতন মহল। পাশাপাশি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে মামলার প্রকৃত আসামীদের গ্রেফতারের জোর দাবি জানিয়েছেন।