রুং তুলির স্পর্শে জানান দিচ্ছে হিন্দুধর্মাবল্বীদের বৃহৎ উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের বেশী দেরি নেই।আরও মাত্র একসপ্তাহ পরে শুরু হবে দুর্গা পুঁজা। ঘরে ঘের উৎসবকে বরণ করতে চলছে নানা আয়োজন ও প্রস্তুতি।কেনাকাটা সেরে নিচ্ছেন বিত্তবানেরা।বিপনি বিতান গুলোতে ভির বাড়ছে।পালপাড়ার প্রতিমা শিল্পীরা এখন শেষ কর্মযজ্ঞ নিয়ে দিনরাত প্ররিশ্রম করছেন। এবার বেড়া উপজেলায় ৫৬ টি পূঁজামন্ডপে পূজা উৎযাপন করা হবে বলে বেড়াউপজেলা পুঁজা উৎযাপন কমিটির সূত্রে জানা গেছে।আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও উপজেলা প্রশাসনের সাথে পুঁজার উদযাপন কমিটির প্রস্তুতি মূলক সভায় হিন্দু নেতারা বলেছেন করোনার প্রকোপ কমায় এবার তাঁরা স্বতিতে উৎসবটি পালন করার আশা করছেন।
গতকাল সোমবার দুপুরে উপজেলা হলরুমে বেড়া উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মোঃ সবুর আলীর সভাপতিত্বে এক প্রস্তুতিমূলক সভার প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে বেড়াউপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল হোক বাবু উপজেলার হিন্দুধর্মালম্বী প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।সভায় বেড়া উপজেলার মহিলা ভাইস শারমিন সুলতানা ইতি ও পুঁজা উদযাপন কমিটির নেতারা বক্তব্য রাখেন।
বেড়া পৌর কেন্দ্রীয় কালী মন্দিরের পুঁজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শ্রী সুজিত কর্মকার জানান, তাদের আয়োজন ঠিকঠাক ভাবে এগিয়ে চলছে। বেড়া উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতা ও উপজেলা পুঁজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শ্রী ভিকুরাম হালদার জানান, বেড়া উপজেলায় ৫৬ টি পুঁজা মণ্ডপে দুর্গা পুঁজার আয়োজন চলছে।
এদিকে বেড়া উপজেলার প্রতিমা শিল্পীরা জানালেন,প্রতিমা তৈরির সকল উপকরণের দাম বেশি হওয়ায় এবার প্রতিমা তৈরি করে তাঁরা মুনাফা করতে পারছেন না তাঁরা।
পেঁচাকোলা গ্রামের প্রবিন প্রতিমা তৈরীর কারিগর কৃষ্ণ পাল(৬৫)জানান,তার পূর্বপুরুষেরা বংশ পরস্পর প্রতিমা তৈরি করে আসছেন। এ উৎসবকে সামনে রেখে তারা বছর ধরে চলারমত আয় উপার্যন করে থাকেন। এবারও উপজেলার মধ্যে দামী যে কয়েকটি প্রতিমা তৈরি হচ্ছে তার বেশ কয়েকটি তার হাতের তৈরি। এবার যে প্রতিমাটি ত্রিশ হাজার টাকায় বিক্রি করছেন গতবছর সেই প্রতিমা বিশ পঁচিশ হাজার টাকা বিক্রি করেছেন।বেশি দামে বিক্রি করেও আগের তুলনায় লাভ হচ্ছে না। এর জন্য তিনি প্রতিমা তৈরির সকল উপকরণের মূল্য বৃদ্ধিকে দায়ী করছেন।