ঢাকার আশুলিয়ায় পাঁচশ টাকা চুরির ঘটনা দেখে ফেলায় শিশুকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত এক বাস স্টাফকে আটক করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার এসআই সামিউল ইসলাম। এর আগে রোববার দিবাগত রাত ১২ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকা থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত শিশু ফেরদৌস (১১) শেরপুরের সদর থানার মুন্সিপাড়া গ্রামের বাসচালক রইচ উদ্দিনের ছেলে। সে পরিবারের সাথে আশুলিয়ার পল্লীবিদুৎ এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করত। নিহত ফেরদৌস আশুলিয়া ক্লাসিক পরিবহনে কাজ করতো।
অন্যদিকে আটক হৃদয় আশুলিয়া ক্ল্যাসিক পরিবহনের কন্ডাক্টর ও পলাতক মো. পারভেজ একই পরিবহনের হেলপার।
নিহত শিশুর বড় বোন রুবিনা বেগম বলেন, আমার বাবা আশুলিয়া ক্ল্যাসিক পরিবহনের চালক। ছোট ভাই ফেরদৌস একটু চঞ্চল প্রকৃতির হওয়ায় তিন দিন আগে ওরে আশুলিয়া ক্ল্যাসিক পরিবহনে কাজে পাঠায়। আজ সকালে আমার ভাইয়ের লাশ বাইপাইল রাস্তা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। বাসের হেলপার ও কন্ডাক্টর আমার ভাইকে হত্যার পর লাশ সড়কে ফেলে রাখে। পরে ভোর রাতে তারাই পুলিশকে খবর দিয়ে আনে।
পুলিশ জানায়, রাত ১২ টার দিকে রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর থেকে বাস নিয়ে বাইপাইল পৌঁছায়। পরে গাড়ির মধ্যে কন্ডাক্টর হৃদয় ও হেলপার পারভেজ ঘুমিয়ে পড়েন। এসময় শিশু ফেরদৌস গাড়িতেই ছিলো। ঘুম ভাঙলে তার পকেট থেকে ৫০০ টাকা খোয়া গেছে বলে জানতে পারেন হৃদয়। এসময় শিশু ফেরদৌস তার পকেট থেকে পারভেজ টাকা চুরি করেছে বলে জানায়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে পারভেজ ও হৃদয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এসময় পারভেজকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন হৃদয়। পরে ক্ষিপ্ত হয়ে পারভেজ শিশু ফেরদৌসকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে তারা দুজন মিলেই নিহত ফেরদৌসের লাশ সড়কে ফেলে রেখে পুলিশকে দুর্ঘটনার খবর দেয়। সাভার হাইওয়ে পুলিশ প্রথমে ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও মরদেহে দুর্ঘটনার কোন চিহ্ন না পাওয়ায় বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করে। পরে ভোর রাতে আশুলিয়া থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। এসময় হৃদয়কে আটক করা গেলেও পারভেজ ঢাকা দেয়।
আশুলিয়া থানার ওসি (তদন্ত) জিয়াউল ইসলাম জানান, লাশ উদ্ধার করা করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।