ঢাকার আশুলিয়া থেকে ০৩ বছরের শিশু অপহরণের ০২ দিন পর সিরাজগঞ্জ থেকে উদ্ধার করেছে র্যাব-৪। এ সময় এক অপহরণকারীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। র্যাব-৪ এর অধিনায়ক মোজাম্মেল হক জানান, গত ২১ শে অক্টোবর ২০২১ইং বৃহঃস্প্রতিবার ঢাকার শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার পল্লী বিদ্যুৎ এলাকার কবর স্থান রোড থেকে দুপুর ১ ঘটিকার সময় অপহরণ হয় শিশু আফিয়া (০৩) ।
এরপর নানা খোজাখুজি করার সময় একটা অপরিচিত মোবাইল নাম্বার থেকে চারলক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়৷ মুক্তিপণের টাকা না দিলে শিশুটিকে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেয় অপহরণকারী৷ অবশেষে র্যাব-৪ এর দারস্থ হয় অসহায় বাবা-মা ।
এরপর র্যাব-৪ এর একটি চৌকস দল অভিযান পরিচালনা করে অপহরণকারীর নিজ জেলা পাবনা এবং সেখান থেকে তার শ্বশুরবাড়ী নাটোরের বরাইগ্রাম । সবশেষে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর থানার দূর্গম চরাঞ্চল এলাকায় গত ২২ শে অক্টোবর থেকে ২৪ শে অক্টোবর পর্যন্ত সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর থানার ১০ নং কৈজুরি ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের বাধ সংলগ্ন সুইসগেট এলাকার একটা বাড়ি থেকে অপহৃত শিশু আফিয়াকে উদ্ধার ও অপহরণকারী রানা আহম্মেদ বাকী (৩৪) গ্রেফতার করা হয়। অপহরণকারী রানা আহম্মেদ বাকী (৩৪) তার গ্রামের বাড়ী পাবনা জেলার সদর থানার ভাউডাঙ্গা গ্রামে । সে ঢাকার আশুলিয়া পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থেকে রাতে রিক্সা চালাতো এবং দিনে একটি কয়েক ফ্যাক্টরিতে কাজ করতো৷
ভিকটিম শিশুটির বাবা আবুল কালাম আজাদ (২৮) এবং মা সোনিয়া বেগম (২৭)। তারা পেশায় পোশাক শ্রমিক হওয়ায় তাদের মেয়ে শিশু আফিয়াকে বৃদ্ধ আনোয়ারা বেগমের কাছে রেখে যেতো। আনোয়ারা বেগমের পাশের রুমেই অপহরণকারী রানা আহম্মেদ বাকী ভাড়া থাকতো৷ ইতিমধ্যে শিশুটিকে অপহরণের কৌশল হিসাবে বিভিন্ন খেলনা, চিপস কিনে দিয়ে সে নিয়ে পালিয়ে যায় এবং শিশুটির মা বাবার কাছে চার লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। সবশেষে র্যাব-৪ এর অভিযানে শিশুটিকে উদ্ধার ও অপহরণকারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। ইতিমধ্যে অপহরণকারী রানা আহম্মেদ বাকীর বিরুদ্ধে একটি অপহরণ মামা দায়ের করা হয়েছে।