রেফারিরা যেহেতু রক্তমাংসে গড়া মানুষ, ফুটবল মাঠে তাঁদের সব সিদ্ধান্তই নির্ভুল হবে, ভাবনাটা বাস্তবসম্মত নয়। রেফারিংয়ে ভুল হবে, কোনো দল সুবিধা পাবে, কোনো দল নিজেরা ‘অবিচারের’ শিকার হয়েছে বলে মনে করবে। এটাই ফুটবল। দুনিয়ার সর্বোচ্চ পর্যায়েও রেফারিং নিয়ে অভিযোগ অহরহ। বিশ্বকাপ, ইউরোর মতো আসরেও রেফারিং নিয়ে ক্ষোভ থেকে যায়। কিন্তু এরপরও অনেক কিছুই আলোচনা ও বিশ্লেষণের দাবি রাখে। কাল নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ কিংবা এবারের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ এমন কিছু বিশ্লেষণ দাবি করছে।
কাল ম্যাচের ৮৬ মিনিটে নেপালকে উজবেকিস্তানের রেফারি যে পেনাল্টিটি ‘উপহার’ দিয়েছেন, সেটি যেকোনো বিচারেই বিতর্কিত। তাজ তামাংয়ের ক্রস বাংলাদেশের গোলমুখে উড়ে এলে অঞ্জন বিষ্টা হেড করতে লাফিয়েছিলেন। বাংলাদেশের দুই রক্ষণসেনা বিশ্বনাথ ঘোষ ও সাদউদ্দিন অঞ্জনকে হেডে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। এ সময় অঞ্জন মাঠে পড়ে যান। রেফারি বেশ দূর থেকেই অঞ্জনের সেই পড়ে যাওয়ার পেছনে সাদ বা বিশ্বনাথের দায় খুঁজে পান। বাঁশি বাজান পেনাল্টির।
রেফারি খুব সম্ভব ভেবেছিলেন, অঞ্জন হেড করার চেষ্টা করছিলেন যখন বিশ্বনাথ বা সাদ তাঁকে ধাক্কা দিয়েছেন। সিদ্ধান্তটির পর ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা। এমনকি ম্যাচ শেষ হওয়ার পর খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের হাতে রেফারির নাজেহাল হওয়ার শঙ্কাও জেগেছিল। মালদ্বীপের পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা রেফারিকে কর্ডন করেই মাঠ থেকে বের করে নিয়ে যান। পুলিশ রেফারিকে কর্ডন করে মাঠ থেকে বের করে নিয়ে যাচ্ছে, এটা বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলের নিয়মিত ঘটনা হলেও আন্তর্জাতিক ফুটবলে খুব বেশি দেখা যায় না।
