রেলওয়ে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী তিতাস কমিউটার ট্রেনটি বেলা ২টা ১০ মিনিটে নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রাবিরতি দেয়। যাত্রাবিরতি শেষে ট্রেনটি ধীরে ধীরে চলতে শুরু করলে ওই কিশোর ট্রেন থেকে নেমে যায়। এ সময় ট্রেনের কামরার দরজার সামনে থেকে বোতল তুলতে গিয়ে ওই কিশোর হোঁচট খেয়ে ট্রেন ও প্ল্যাটফর্মের মধ্যবর্তী ফাঁকে পড়ে যায়। এতে তাঁর ডান পা ট্রেনের চাকার নিচে কাটা পড়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
ওই অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাকে টেনে প্ল্যাটফর্মের ওপরে তোলেন। পরে স্থানীয় তাঁরা ওই কিশোরকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তৌহিদুল আলম ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।
তৌহিদুল আলম জানান, ওই কিশোরকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
জানতে চাইলে নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইমায়েদুল জাহেদী বলেন, দুর্ঘটনায় নিহত ওই কিশোরের পরিচয় এখনো জানা যায়নি। তার পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।