রাজধানীতে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দিয়ে প্রতারণার ফাঁদ পেতে বেড়ে ওঠা রাতের রমণীদের সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকলেও আইনঙ্খূলা বাহিনীর তৎপরে এখন অনেকটাই সস্তি ফিরেছে। তবে তারা বদলাচ্ছে প্রতারণার ধরণ।
সরাসরি রাতের রমণীর পরিচয় থেকে সরে এখন ধরণ বদলেছে তাদের অপরাধের । ধনী পরিবারের কোন সন্তান,কোটিপতি অথবা বড় ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে আঁটে নতুন ফাঁদ । প্রথমে বন্ধুত্ব এরপর মনের দূর্বলতা বুঝে ভাল লাগা ইত্যাদি শব্দ উচ্চারিত করে ভুক্তভোগীদের ।
তারপর শুরু হয় প্রেম । কিছুদিন যেতে না যেতেই একসাথে ঘুরাফেরার শর্তে কোন এক জায়গায় পরিকল্পিত সাজানো নাটকের মূল দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়। ঘরে প্রথম স্ত্রী সন্তান আছে জেনেও জোড়পূর্বক বিয়ে করতে বাধ্য করা হয় । এরপর মোটা অঙ্কের কাবিন চাপিয়ে দেওয়া হয় ভুক্তভোগীকে । মাস খানেকের মাথায় আবারো নাটকের প্রধান চরিত্রের অবসান হওয়ার কাজ । এবার কাবিনের মোট টাকা,গহনা নিয়ে কথিত ডির্ভোস। তারপর একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে অর্থ আত্মসাতের চেষ্টা,হয়রানি ।
সবশেষে গিয়ে রাতের রমণীদের টার্গেট পরিপূর্ণতায় আসে । সম্প্রতি এমনি একটি ঘটনা ঘটে গেছে রাজধানীর মুগদা এলাকায়। উল্লেখযোগ্য তথ্যসূত্রে জানা যায়, ব্যবসায়িক ফিরোজ উজ্জামানকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে রোকসানা নামের তরুণী । এরপর একেরপর এক রোকসানার পরিকল্পনা অনুযায়ী নগদ অর্থ ও গহনা সহ খুইয়ে যায় ব্যবসায়ী ফিরোজের প্রায় ১০ লাখ টাকার সম্পদ ।
এমন ঘটনার নজির যেন রোকসানার কাছে কিছুই না । যা নিয়ে রোকসানার বিরুদ্ধে রাজধানীর খিলগাঁও থানায় একাধিক অভিযোগ(জিডি) করেছে কয়েকজন ভুক্তভোগী।কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায় কিভাবে পার পেয়ে যাচ্ছে অপরাধ জগতের বাসিন্দা এই রোকসানা! অনুসন্ধানী তথ্যমতে রোকসানার বিরুদ্ধে তার গ্রামের বাড়ির চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ থানায় ও সাধারণ ডায়েরী করা আছে ।
এখন সে তার নানা মৃত শুক্কুর আলী মুন্সির বাড়ীতে মায়ের সঙ্গে অবস্থান করছে । উল্লেখ্য, রোকসানা (মিশু) সে তার মা কুলসুমা বেগম জোসনার ছত্রছায়ায় অপরাধ জগতে পা রাখে বলে অভিযোগ রয়েছে । উল্লেখ্য রোকসার বিরুদ্ধে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল ।