পাবনা জেলার বেড়া উপজেলায় শিক্ষার্থীদের দ্বারা পরিচালিত শিক্ষার্থী সহযোগিতা সংগঠন। তারা ছয় বছর ধরে বেড়া উপজেলা সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় গরীব ও অসহায় দের সাহায্য সহযোগিতা করে আসছে।
তারই প্রেক্ষাপটে তারা নদী পারের মানুষের জন্য নদীর মধ্যে ৫৫০ হাত সাঁকো নির্মাণ করে।এছাড়া তারা ছোট ছোট আরো কিছু জায়গায় সাঁকো নির্মাণ করে। নদী পারের মানুষের যেনো বাঁধে আসলে যেনো টাকা না লাগে সেই জন্য এই বিশাল সাঁকো নির্মাণ করা হয়। শিক্ষার্থী সহযোগিতা সংগঠন ছুটে চলে দূর দূরান্তে। সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বছর পাঁচেক আগে ঐতিহ্যবাহী বেড়া বিপিন বিহারী সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির কয়েকজন শিক্ষার্থী টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে গঠন করে “শিক্ষার্থী সহযোগিতা সংগঠন” নামে সংগঠন। শুরুর দিকে তারা দরিদ্র শিক্ষার্থীদের শিক্ষাসংক্রান্ত সহায়তাসহ দুস্থদেরও নানাভাবে সহায়তা করেছে।
যেখানেই তারা মানুষের অসহায়ত্বের খবর পেয়েছে, সেখানেই পৌঁছে গেছে। দুস্থদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী, চিকিৎসাসামগ্রী, শীতবস্ত্র প্রভৃতি বিতরণ করেছে। তাদের কর্মকাণ্ডে খুশি হয়ে অনেক সচ্ছল ও ধনী ব্যক্তি সংগঠনের তহবিলে অর্থসহ বিভিন্ন রকম সামগ্রী দান করছেন। বর্তমানে সংগঠনটির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বেড়া উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতাধিক শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থী সহযোগিতা সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মেহেরাব হোসেন জিম(এডমিশন প্রার্থী) বলেন,”নিজেকে খুঁজে পাওয়ার সর্বোত্তম উপায় হ’ল নিজেকে অন্যের সেবায় হারানো” এই স্লোগানকে সামনে রেখে আমরা কাজ করি। টিফিনের টাকা জমিয়ে ভালো কিছু করার উদ্দেশ্য নিয়ে আমাদের যাত্রা শুরু। এরই মধ্যে শতাধিক শিক্ষার্থী আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এর পাশাপাশি অনেক সচ্ছল ব্যক্তি আমাদের মাধ্যমে অসহায় মানুষদের সহায়তা করার ব্যাপারে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। মানবকল্যাণের বিষয়টি এমন সফলতার মুখ দেখবে, তা সত্যিই আমরা ভাবিনি।’ নদী পারের করিমের সাথে কথা বলে জানা যায়ঃ এই ছাত্ররা এই সাঁকো করাতে আমরা খুবিই খুশি। কারণ এই সাঁকো করাতে এই এলাকার শত শত মানুষের হাজার হাজার টাকা বেঁচে যাচ্ছে।