রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, শেরপুর ও কুড়িগ্রাম—দেশের এই ১৩টি জেলা ম্যালেরিয়াপ্রবণ। এর মধ্যে রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি—পার্বত্য এই তিন জেলায় সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয় মশাবাহিত ম্যালেরিয়া রোগে। দেশের ম্যালেরিয়া রোগী শনাক্ত ও মৃত্যুর ৯০ শতাংশই হয় পার্বত্য তিন জেলায়। চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত পার্বত্য তিন জেলায় ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ২১০ জন। গত বছর একই সময়ে আক্রান্ত ছিলেন ২ হাজার ১০৮ জন। এ বছর পার্বত্য তিন জেলার আক্রান্তদের মধ্যে বান্দরবানেই ৭৬ ভাগ। বাকিরা অন্য দুই জেলায়। ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া তিনজনই বান্দরবানের বাসিন্দা।
বান্দরবানের সিভিল সার্জন অং সুই প্রু মারমা প্রথম আলোকে বলেন, ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা গতবারের চেয়ে কিছু বেড়েছে। আবার এ জেলায় ইতিমধ্যে একজন ডেঙ্গু রোগীও শনাক্ত হয়েছে। তবে ম্যালেরিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়লেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
ম্যালেরিয়া পরিস্থিতি যখন উদ্বেগ বাড়াচ্ছে, তখন পাহাড়ে করোনার সংক্রমণও বাড়ছে। গত বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় তিন পার্বত্য জেলায় ১০০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩২ শতাংশ। আর গতকাল সারা দেশে সংক্রমণ শনাক্তের হার ছিল ২৬ দশমিক ২৫ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় রাঙামাটিতে একজন এবং খাগড়াছড়িতে দুজন মারা গেছেন করোনায়। এখন পর্যন্ত তিন জেলায় মারা গেছেন ৭৩ জন। আর এ পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ৭ হাজার ৪৯৬ জন।