ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা এলাকার চা বিক্রেতা আসাদুল ইসলাম বলেন, সারা রাত অনেক বাস চলতে দেখা গেছে। এসব গাড়ি শেষ রাতের দিকে আসে যেন পুলিশ না ধরে।
দিনাজপুর থেকে আসা ঢাকাগামী পিংকি পরিবহনের চালক কামরুল ইসলাম বলেন, ‘অনেক গাড়ি চলাচল করে বলেই আমরা বাস নিয়ে বের হয়েছি। গাড়ি চলার জন্য যমুনা সেতুর আগে-পরে কিছু খরচ করতে হয়। এ ছাড়া আর কোনো ঝামেলা নেই। আর ভোরবেলায় চন্দ্রা এলাকায় ধরার মতো কেউ থাকে না।’
পিংকি পরিবহনের যাত্রী সোহেল রানা বলেন, ‘আমরা প্রাইভেট কারে আসতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সবাই বলল, বাসেও যাওয়া যায়। এ জন্য বাসে আসলাম। এটুকু রাস্তায় কোনো সমস্যা হয়নি। তবে এখানে আটকে দিয়েছে। এখন ভিন্ন উপায়ে ঢাকায় যেতে হবে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাসচালক বলেন, ‘বগুড়া থেকে চন্দ্রা আসতে চারটি স্থানে ৫০০ টাকা করে পুলিশকে দিতে হয়েছে। কিন্তু চন্দ্রা এসে আর যেতে পারিনি। এখানে পুলিশ আটকে দিয়েছে।’
কোনাবাড়ী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর গোলাম ফারুক বলেন, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে যাত্রী নিয়ে চলাচল করার চেষ্টা করে বাস। শুক্রবার ভোররাতে এমন ৪০টি বাস আটক করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।