আশুলিয়ার জিরাবো টু বিশমাইল সড়ক । দীর্ঘদিন ধরেই খানাখন্দ অবস্থায় থাকলেও এবার মৌসুম ভিত্তিক বৃষ্টিপাতে ফলে একেবারে নাজেহাল অবস্থা হয়ে গেছে। ঘটছে ছোট বড় দূর্ঘটনা। আশুলিয়া শিল্পা এলাকা হওয়ায় প্রতিদিনই সড়কটিকে অবলম্বন করতে হয় হাজার হাজার শ্রমিককে। আবার কারখানাগুলোর কাঁচামাল পরিবহণে ব্যহৃত কাভার্ড ভ্যানের ও একমাত্র যাতায়াতের মাধ্যমও এই বিশমাইল টু জিরাবো সড়ক।সড়ক দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বর্ষা মৌসুমে অবস্থা এতটাই নাজুক হয় যে, হেঁটে চলাচলও দায় হয়ে দাঁড়ায়। কোথাও কোথাও জুতা হাতে নিয়ে চলাচল করতে হয় চরম দুর্ভোগ আর ভোগান্তি নিয়ে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন বলছে করোনার কারণে বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়কের সংস্কারকাজ আটকে রয়েছে। তবে শিগগিরই রাস্তাগুলো মেরামত করা হবে। জিরাবো-বিশমাইল আঞ্চলিক সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন রিকশা-ভ্যান, অটোরিকশা, বাস-ট্রাক ও বিভিন্ন শিল্পকারখানার যানবাহনসহ হাজারো পরিবহন চলাচল করে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে পুরো রাস্তায় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে সেখানে পানি জমে কাদার সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে জিরাব থেকে কাঠগড়া আমতলা পর্যন্ত এ সড়কের অবস্থা এতটাই নাজুক যে রিকশা-ভ্যানতো দূরের কথা, খালি পায়ে হেঁটে চলাচলও দুরূহ ব্যাপার। প্রতিদিনই এ সড়কে চলাচলরত যানবাহন ছোট-বড় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। উল্টে যাচ্ছে রিকশা, অটোরিকশা এবং রাস্তার মাঝখানে আটকে যাচ্ছে ভারী যানবাহন। ফলে প্রতিদিনই দীর্ঘ যানজটেরও সৃষ্টি হচ্ছে। আর চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এ সড়ক দিয়ে চলাচলরত লাখো মানুষের। সাগর আহম্মেদ নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, বিগত পাঁচ-সাত বছর আগে এ রাস্তাটি সংস্কার করা হয়েছিল। কিন্তু এরপর আর কোনো সংস্কার করা হয়নি।সড়কটির এমন দূর্ভোগ নিরসনে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। জিরাবো টু বিশমাইল সড়কটির এমন দূর্দশা নিরসনে খুব দ্রুত সংশ্লিষ্ট মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ এ্যাড. নজরুল ইসলাম । ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দৈনিক ভোরের খবর,খন্দকার এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান। অফিসঃ ১৫০ নাহার ম্যানসন (৫ম তলা) মতিঝিল বানিজ্যিক এলাকা,ঢাকা -১০০০। বার্তাকক্ষ-+৮৮০১৭৪৫-৩৫৪২৭৭