সাভারের আশুলিয়ায় মালিকানা দ্বন্দ্ব ও ক্ষোভ থেকে একটি বেসরকারি স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মণকে হত্যাকান্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩ জনকে রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) দুপুরে আশুলিয়া থানা থেকে প্রিজন ভ্যানে করে তাদের আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে রাতে র্যাব-৪ আসামীদের আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করেন। গত রাতেই নিহতের ভাই দীপক চন্দ্র বর্মণ বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় ৩ জন এজহারনামা আসামীসহ অজ্ঞাত কয়েকজন কে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো-গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ থানার চন্ডিপুর গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে মো. রবিউল ইসলাম, একই গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে আ.রহিম বাদশা ও পঞ্চগড় জেলার তেতুলিয়া থানার ভজনপুর গ্রামের মো. মফিজুর রহমানের ছেলে মো. আবু মোতালেব। রবিউল ও রহিম বাদশ সম্পর্কে মামা-ভাগনে। এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার এস আই মিলন ফকির জানান, গ্রেপ্তার ৩ জনকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
পাশাপাশি আসামীরা স্বীকারক্তিমুলক জবানবন্দি দেয়ার কথাও রয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ১৩ জুলাই আশুলিয়ার নরসিংহপুরে সাভার রেসিরডনশিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিন্টু বর্মণকে ডেকে নিয়ে গিয়ে হত্যাকান্ড করে তারই সহকারী শিক্ষক ও পার্টনাররা। প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ ও মালিকানা দ্বন্দ্ব নিয়ে মনমালিন্যের জের ধরে এই হত্যাকান্ড ঘটানো হয়। মিন্টু চন্দ্র বর্মণকে হত্যা করে লাশ ৬ টুকরো করে।
এরমধ্যে দেহের ৫ টুকরো স্কুলের অঙ্গিনায় মাটিতে পুতে রাখে ও বিচ্ছিন্ন মাথা ঢাকার আশকোনার একটি ডোবায় ফেলে দেয়। পরে গতকাল র্যাব-৪ অভিযান চালিয়ে হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে লাশের টুকরো স্কুলের আঙ্গিনা থেকে মাটি খুড়ে উদ্ধার করে। পরে আশকোনার ডোবা থেকে বিচ্ছিন্ন মাথাও উদ্ধার করে। প্রায় একমাস ধরে নিখোঁজ ছিলেন অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মণ। র্যাবের অভিযানে আলোচিত ঘটনাটির রহস্য উৎঘাটন হয়।