পাবনা জেলার সাঁথিয়া উপজেলার আমাইকোলা ইছামতি নদীর পাড়ে “ডেইরী বাংলা ফুডস লিমিটেড ” নামে একটি কারখানা ভেজাল দুধ দিয়ে বিভিন্ন মিষ্টিজাত দ্রব্য বানিয়ে জনজীবনকে চরম ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছে। তাদের সংগ্রহীত দুধের প্রতি এক মন দুধ থেকে প্রায় চার/সাড়ে চার কেজি ক্রিম তুলে নেয়। এরপর সেই ক্রিম কেজিতে চার শত টাকা দরে বিক্রি করে। বাকি দুধের পানির মধ্যে কনডেন্সড মিল্ক পাউডার মিশিয়ে নতুন দুধ তৈরী করে পাশের রুমে মেশিনে বানানো হচ্ছে পাস্তুরীকৃত প্যাকেট করা দুধ । এগুলো পিউরি মিল্ক নামে ঢাকায় পাঠিয়ে দেয় ফ্রিজিং গাড়িতে। ঢাকায় তাদের আরেকটি অফিস রয়েছে তাওয়াফ মার্কেট, আশকোনা, হাজীক্যাম্প, নাঈম কমিশনের অফিসের পাশে, এয়ারপোর্ট, ঢাকা – ১২২৯। এই অফিসের মাধ্যমে এই ভেজাল দুধ সারাদেশের সাপ্লাই দেওয়া হচ্ছে। এসব অসাধু ব্যবসায়ীরা নিজেরা অধিক মুনাফার লোভে মানুষকে এসব অস্বাস্থ্যকর আর ভেজাল খাবার খাওয়াচ্ছে। যার ফলে মানুষের স্বাস্থ্য ঝুকিপূর্ন হয়ে হার্টএ্যাটাক, কিডনি সমস্যা সহ বিভিন্ন মরনব্যধিতে আক্রান্ত হচ্ছে। বাচ্চাদেরকে এসব নিম্নমানের প্যাকেটজাত তরল দুধ খাওয়ানোর ফলে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। সেইসঙ্গে বিভিন্ন রোগ শরীরে ক্রমাগত বিস্তার লাভ করছে। দেশের আর্থ সামাজিক প্রযুক্তি, কারিগরি জ্ঞান এবং রপ্তানী বানিজ্যের প্রতি লক্ষ্য রেখে কৃষি ও খাদ্য, পাট ও বস্ত্র, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেক্ট্রনিক্স, রসায়ন ও প্রকৌশল এ পাঁচটি বিভাগের মাধ্যমে পন্যের জাতীয় মান প্রণয়ন করে থাকে বিএসটিআই। বিএসটিআই এর বাধ্যতামূলক লাইসেন্সের তালিকাভুক্ত ১৫৪ টি পণ্যের মধ্যে এসব কারখানায় উৎপাদিত পণ্য দ্রব্যগুলো অন্যতম। কিন্তু সবকিছু উপেক্ষা করে নিম্নমানের দুধের পানিতে পাউডার মিশিয়ে চলছে রমরমা ব্যবসা।