ঢাকাসোমবার , ৯ আগস্ট ২০২১

আশুলিয়ায় স্কুলের মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ,নিখোঁজের ২৮ দিন পর অধ্যক্ষের লাশ উদ্ধার


আগস্ট ৯, ২০২১ ৩:৩১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

 ঢাকা আশুলিয়ার জামগড়া ছয়তলা রূপায়ন এলাকা থেকে একটি খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করেছে র‍্যাব। নিহত ব্যক্তি সাভার রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে তার অংশীদারত্বের মালিকানাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উঠানের কোনা থেকে আসামীদের তথ্যের ভিত্তিতে লাশের কয়েকটি খন্ড উদ্ধার হয়।

নিহত মিন্টু চন্দ্র বর্মন লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের বাড়াইপাড়া গ্রামের শরত বর্মনের ছেলে। তিনি পেশায় শিক্ষক ছিলেন।

এ বিষয়ে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে গণমাধ্যমকে বলেন, যাঁদের আটক করা হয়েছে, তাঁদের ভাষ্যমতে স্কুলের শ্রেণিকক্ষেই মিন্টু বর্মণকে প্রথমে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়। পড়ে কুপিয়ে খুন করে লাশ ছয় খন্ড করে। টুকরা করে স্কুলের মাঠেই পুঁতে ফেলা হয়। এরপর বিচ্ছিন্ন মাথা ফেলা হয় দক্ষিণখানের আশকোনা এলাকায়। আটক সবাই খুনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।

উল্লেখ্য, মিন্টু চন্দ্র বর্মণ সাত বছর ধরে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় বসবাস করতেন। তিনি সেখানকার আমিন মডেল টাউন স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষকতা করতেন। দুই বছর আগে (২০১৯ সাল) মিন্টু চন্দ্র বর্মণসহ চারজন মিলে জামগড়া এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে সাভার রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ নামে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়েন। অন্য তিন সহপ্রতিষ্ঠাতা হলেন রবিউল ইসলাম, মোতালেব ও শামসুজ্জামান। মিন্টু চন্দ্র বর্মণ ছিলেন এর অধ্যক্ষ। গত ১৩ জুলাই থেকে তাঁর সন্ধান মিলছিল না।

গত ২২ জুলাই আশুলিয়া থানায় ওই শিক্ষক নিখোঁজের জিডি করেন তার পরিবার। ওই ঘটনায় র‌্যাব পুলিশের পাশাপাশি তদন্ত শুরু করে। নিখোঁজ ওই শিক্ষকের খন্ডিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যাকারী মূলহোতাসহ তিনজন গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মিন্টুর এক সহকর্মীসহ র‍্যাবের হাতে আটক তিনজনও র‍্যাবের অভিযান দলের সঙ্গে রয়েছেন।

✅ আমাদের প্রকাশিত কোন সংবাদের বিরুদ্ধে আপনার অভিযোগ  বা পরামর্শ থাকলে ই-মেইল করুনঃ dailyvorerkhabor@gmail.com ❌ বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।