দুপুর ২টা। ঢাকা মেডিকেলের আশেপাশের স্বজনদের ভিড়। সবার চাই খাবার, খাবার হোটেল বন্ধ। কিছু ব্যক্তি বাটিতে করে প্যাকেজ খাবার আনলেও মুহূর্তেই শেষ হয়ে যাচ্ছে তা। খাবারের খোঁজে সকলেই।
এরই মাঝে বৃদ্ধ বাবাকে নিয়ে চলছেন মমতাজ বেগম। বাবা আব্দুল মোতাল্লেব ১২ দিন পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। কিন্তু ফিরবেন কিসে? লকডাউনে বন্ধ গণপরিবহন। অ্যাম্বুলেন্সে করে নেয়া সম্ভব না।
মেয়ে জামাই সাইফুল ইসলাম বলেন, আব্বার চিকিৎসা করাইতে খরচ হইছে প্রায় ২৫/৩০ হাজার টাকা। আরো খরচ হইছে ১০ হাজার টাকা। এখন বাড়ি যাবো তার ভাড়া নাই। অ্যাম্বুলেন্সে ভাড়া চায় ১২ হাজার টাকা। সবশেষ ৯ হাজার টাকায় রাজি হইছে। পকেটে আছে ২ হাজার টাকা। বাস খোলা থাকলে বাসে যাইতাম। ঢাকায় থাকারও জায়গা নাই।
এরই মধ্যে বৃদ্ধ বাবাকে নিয়ে আসেন মেয়ে মমতাজ বেগম। হাঁটছেন অনেক কষ্টে। মমতাজ বলেন, হাসপাতাল থেকে রিলিজ করে দিয়েছে। দুই ঘণ্টা ধরে বসে থাকতে থাকতে বাইরে আসলাম আব্বাকে নিয়া। অ্যাম্বুলেন্স পাচ্ছে না ও (স্বামী)। এখন গাবতলী যাচ্ছি ওখান থেকে যদি কোন ব্যবস্থা হয়। এরপর বাবাকে নিয়ে দুই রিকশায় গাবতলীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন তারা।