বাগেরহাটের শরণখোলায় ব্যবসায়ী বাদল কর্মকার মারা যাওয়ার পর ইতিমধ্যে ১৪ দিন অতিবাহিত হলেও তার শিশুপুত্র ও স্ত্রী সীমা কর্মকার বিষয়টি আজও জানেন না। মা ছেলে উভয়ই অপেক্ষায় রয়েছেন করোনায় আক্রান্ত বাদল সুস্থ হলেই বাড়ি আসবেন। স্থানীয়রা জানায়, জুন মাসে বাদল কর্মকারসহ তার পরিবারের সবাই করোনায় আক্রান্ত হয় এবং গত ২৪শে জুন শরণখোলা উপজেলা হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা করান। রেপিট এন্টিজেন্ট নমুনা পরীক্ষায় বাদলের নেগেটিভ এবং তার স্ত্রী সন্তানের পজেটিভ রিপোর্ট আসে। পরবর্তীতে বাসায় বাদলের অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। খবর পেয়ে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন টেস্টের একদিন পর এম্বুলেন্স যোগে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে করোনা পরীক্ষায় তার পজেটিভ রিপোর্ট আসে। এক পর্যায়ে ওই হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৯শে জুন বাদল মারা যায় এবং তাকে বরিশাল মহাশ্মশানে সৎকার করা হয়।
বাদলের শ্বশুরালয়ের তার শ্যালক বলেন, তার বোন সীমা কর্মকার ও ভাগ্নে সুর্য্য কর্মকারের করোনা পজেটিভ থাকার কারণে তাদের এখনো বাদলের মৃত্যুর বিষয়টি জানানো হয়নি। সম্প্রতি মা-ছেলের পুনরায় করোনার নমুনা পরীক্ষা জন্য দেয়া হয়েছে। রিপোর্ট নেগেটিভ আসলে তবে মৃত্যুর বিষয়টি তাদেরকে জানানো হবে। শরণখোলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, রেপিট এন্টিজেন্ট টেস্টের রিপোর্ট ৬০ ভাগ সঠিক পাওয়া যায়। যার কারণে বাদল কর্মকারের রিপোর্ট প্রথমে পজেটিভ আসেনি কিন্তু পরে সিসিআর টেস্টে পজেটিভ আসে।