ফ
গরুটির নাম ‘রাণী’। মাত্র ২০ ইঞ্চি উচ্চতার এই গরুটির ওজন ২৬ কেজি। যার দাম উঠেছে সাড়ে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত। গরুটিকে বিশ্ব রেকর্ডে জায়গা করে দিতে ইতিমধ্যে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছে এটির মালিক সাভারের ‘শিকড় এগ্রো লিমিটেড’। পরীক্ষা নিরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে বিশ্বে ছোট গরুর রেকর্ডে ভারতকে পেছনে ফেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী- এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরুটি রয়েছে ভারতের কেরালা রাজ্যে। ৪ বছর বয়সী ওই গরুটি লাল রঙের। যেটির উচ্চতা ২৪ ইঞ্চি (২ ফুট)। আর ওজন ৪০ কেজি। গরুটির নাম ‘মানিকিয়াম’। ভারতের গরুটি ল্যাব্রাডার কুকুরের চেয়েও ছোট। দক্ষিণ ভারতের রাজ্য কেরালার আথোলিতে বাস মানিকিয়ামের। এর মালিক অক্ষয় এনভি নামের এক ব্যক্তি।
এদিকে সাভারের আশুলিয়ার চারিগ্রাম এলাকায় পাওয়া গরু ‘রাণী’ ভারতের ‘মানিকিয়াম’ এর চেয়েও কম ওজন ও উচ্চতা। ‘বক্সার ভূট্টি’ জাতের এই খর্বাকৃতির গরুটির বয়স এখন ২ বছর।
শিকড় এগ্রো জানায়, প্রায় ১ বছর আগে কোন এক মাধ্যমে খবর পেয়ে নওগাঁ থেকে গরুটিকে সংগ্রহ করে সাভারে নিয়ে আসা হয়। এখন সাভারেই এটিকে পালন করা হচ্ছে। গরুটিকে দিনে দুই বেলা খাবার দিতে হয়। সাধারণ গরুর তুলনায় এটির খাবারও অনেকটা কম লাগে।
গরুটির মালিক জানায়, ইন্টারনেট ঘেটে স্টাডি করে দেখে তারা জানতে পেরেছে- এটিই পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে ছোট গরু। এটি এখন কোরবানির উপযুক্ত। গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ডে ‘রাণী’কে রেকর্ডভুক্ত করতে গত ২ জুলাই রাত ১২টার পর আবেদন জানানো হয়েছে। ওই আবেদনের পর গিনেস বুক কর্তৃপক্ষ একটি রিপ্লাইও দিয়েছে। গিনেস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে- তাদের নিজস্ব কিছু প্রক্রিয়া রয়েছে। ওই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেই তারা আগামী ৯০ দিনের মধ্যে পরবর্তী কার্যক্রমগুলো শেষ করে সিদ্ধান্ত জানাবে।
এদিকে স্থানীয় এক পশু চিকিৎসক বলেছেন, ছোট্ট এই গরুটি পুরোপুরি সুস্থ রয়েছে। এর উচ্চতা এবং ওজন আর বাড়ার সম্ভাবনা নেই। তাই এটিই হতে পারে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরু।