সাভারের আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের বেরুণ মানিকগঞ্জ পাড়ার একটি বাড়ি থেকে এক মুদি দোকানদার সাধারণ ব্যবসায়ীসহ পৃথক স্থান থেকে দুই যুবকের লাশ উদ্ধার করেছেন পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে আশুলিয়া থানাধীন ইয়ারপুর ইউনিয়নের বেরুণ মানিকগঞ্জ পাড়ার জাকির মোল্লার ৬ তালা বাড়ির নিচতলার একটি ফ্লাট থেকে সাগর (২৫) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেন আশুলিয়া থানা পুলিশ। নিহত সাগর শেরপুরের নুরুজ্জামান কালুর ছেলে। সাগর ও তার স্ত্রী মোছাঃ আকলিমা বেগম (২১) ও এক বছরের শিশু সন্তান নিয়ে স্থানীয় জাকির হোসেনের ভাড়া বাড়িতে থেকে মুদি ও চায়ের দোকান দিয়ে ব্যবসা করতেন।
স্থানীয় মোঃ রতন মিয়া বলেন, সাগর তিন মাস আগে তাদের মার্কেটের একটি দোকান ৩০ হাজার টাকা অগ্রিম চুক্তিতে ২৪ হাজার টাকা নগদ দিয়ে দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে ভালো ভাবে ব্যবসা করছিলেন। হঠাৎ করে আজ সকালে ওই দোকান ও বাসার সামনে অনেক লোকজন দেখে এগিয়ে এসে শুনতে পাই সাগর মারা গেছেন। এরপর থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ আসার পর সাগরের লাশ দেখছি। তিনি আরও বলেন, আমি খবর নিয়ে জানছি যে, সাগর প্রতিদিন রাত ১১টা থেকে ১২ টা সময়ের মধ্যে দোকান বন্ধ করে তার বাসায় যাইতেন। প্রতিদিনের ন্যায় মৃত্যুর আগের দিনগত রাতেও তিনি ১১টার পরে বাসায় গিয়েছেন বলে লোকজন জানায়।
এ বিষয়ে নিহতের স্ত্রী পোশাক শ্রমিক আকলিমা বলেন, আমার স্বামী ঘরের বাহিরে ছিলো এবং ঘরের দরজা বাহির থেকে লক করে বন্ধ করা ছিলো, আমি ও আমার শিশু ছেলে ঘরের ভেতরে ছিলাম। আমার ঘরের দরজা বন্ধ থাকায় সকালে অনেক ধাক্কাধাক্কির পর দরজার লক খুলে যায় বাহিরে এসে দেখি আমার স্বামী ফাঁসিতে ঝুঁলে আছেন, তখন রসি কেটে তাকে নিচে নামাই আমি। পরে আমার কান্না কাটিতে লোকজন এগিয়ে আসে। এদিকে ওই বাড়ির মালিক জাকির মোল্লা বলেন, সাগর ফাঁসি নিয়ে মারা গেছে। খবর শুনে আমি বাসায় আসি আর পুলিশ কে অবগতি করি পুলিশ আসে। সাগর ফাঁসি নিয়ে মারা গেছেন? প্রশ্ন করলে জাকির মোল্লা বলেন আমি এ বাসায় থাকি না অন্য বাসায় থাকি ম্যানাজার ফোন দিলে আমি জানতে পারি। এসে দেখি বাসার সামনে অনেক লোকজন। লাশ দেখে সাধারণ মানুষ ও সন্দেহ মনে করতেছে বউ মারতে পারে আবার মরতে ও পারে মাঝে মাঝে তারা ঝগড়া বিবাধ করতো। উক্ত বিষয়টি রহস্যজনক বলে ধারণা করা হচ্ছে।
একই স্থানে লাশের গাড়িতে আরো এক যুবকের লাশ দেখে পুলিশের কাছে জানতে চাইলে পুলিশ এই লাশের পরিচয় ও বিস্তারিত জানাতে পারেননি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অপর লাশের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফরহাদ গণমাধ্যমকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে সাগর আত্মহত্যা করেছে। তবে লাশ ময়না তদন্ত করার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে এটি হত্যা, না কি আত্মহত্যা।