আশুলিয়ায় ১৩ বছর বয়সী এক স্কুল ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়নের এনায়েতপুর এলাকার আমির হোসেনের বাড়িতে এ সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সেন্টু মিয়া (৩০) ও আরাফাত নামে দুইজনকে অভিযুক্ত করে রবিবার রাত ১ টা ৩০ মিনিটে আশুলিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর মা সাজেদা বেগম।
অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়, বৃহস্পতিবার বিকালে ভুক্তভোগী স্কুল ছাত্রীকে কৌশলে আমির হোসেনের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্ত সেন্টু মিয়া। এসময় বাড়ির মালিকের ছেলে আরাফাত ও সেন্টু মিয়া ভিকটিম কিশোরীকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে জোরপূর্বক গণধর্ষণ করে। নির্যাতিতা কিশোরী চিৎকার চেচামেচি করলে এলাকাবাসী সেন্টু মিয়ার ঘর থেকে আহত অবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে। এসময় কৌশলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় মূল অভিযুক্ত সেন্টু মিয়া ও আরাফাত।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বলেন, আমি অসহায় ও দরিদ্র একজন মানুষ। স্বামী চলে যাওয়ার পর থেকে রাজমিস্ত্রীর সহকারী হিসেবে কাজ করে সন্তানদের লালন পালন করে যাচ্ছি। আজ আমার মেয়ের এত বড় ক্ষতি করার পর এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা এর বিচার না করে উল্টো আমাকেই এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য বারবার হুমকি দিচ্ছে। আমি আমার সন্তানের জন্য সুষ্ঠু বিচার ও আমাদের জীবনের নিরাপত্তার জন্য আইনের দ্বারস্থ হয়েছি বলেও জানান তিনি।
উক্ত গণধর্ষণের বিষয়ে আশুলিয়া থানার উপ পরিদর্শক (এস আই) জোহাব আলী বলেন, তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।