দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। আগের রেকর্ড ভেঙে একদিনে করোনায় ১১ হাজার ৬৫১ জন শনাক্ত হয়েছেন। এ যাবতকালে এটাই সর্বোচ্চ। এর আগে গত ৬ই জুলাই দেশে ১১ হাজার ৫২৫ জন করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য বিভাগ। সরকারি হিসাবে এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত ৯ লাখ ৮৯ হাজার ২১৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও ১৯৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৫ হাজার ৭৯২ জনে। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৬২ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ৮৪৪ জন এবং এখন পর্যন্ত ৮ লাখ ৫৬ হাজার ৩৪৬ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে আরও জানানো হয়, ৬০৫টি পরীক্ষাগারে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৮ হাজার ২৪টি নমুনা সংগ্রহ এবং ৩৬ হাজার ৮৫০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৬৮ লাখ ৬৬ হাজার ৬৮২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৬২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬০ শতাংশ।
এদিকে বিভাগ ভিত্তিক শনাক্তের হার বিশ্লেষণে দেখা যায়, দেশের মোট শনাক্তের ৪২ দশমিক ৪৭ শতাংশ রোগী রয়েছেন ঢাকা বিভাগে। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ৬৫ জন। শনাক্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৯৪৯ জন। এই বিভাগে শনাক্তের হার ৩১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। ঢাকা জেলায় (মহানগরসহ) শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ। মারা গেছে ২৮ জন।
ময়মনসিংহ বিভাগে মারা গেছেন ১০ জন। শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৪৩৯ জন। শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ৭৬ শতাংশ। চট্টগ্রামে মারা গেছেন ৩৭ জন। এ বিভাগে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৯৩৬ জন। শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৯২ শতাংশ। রাজশাহীতে মারা গেছেন ১৫ জন। শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৪৮ জন। শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ১৩ শতাংশ। রংপুর বিভাগে মারা গেছেন ৯ জন। শনাক্তের সংখ্যা ৭৪৪ জন। শনাক্তের হার ২৮ শতাংশ দশমিক ৪০ শতাংশ। খুলনা বিভাগে মারা গেছেন ৫৫ জন। শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৭৩২ জন। শনাক্তের হার ৩৬ দশমিক ১৮ শতাংশ। বরিশাল বিভাগে মারা গেছেন ৩ জন। শনাক্তের সংখ্যা ৪১৪ জন। শনাক্তের হার ৪৩ দশমিক ২৬ শতাংশ। একই সময়ে সিলেট বিভাগে মারা গেছেন ৫ জন। শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩৮৯ জন। শনাক্তের হার ৪০ দশমিক ১৪ শতাংশ।