১৫ জুনের মধ্যে বিমা গ্রাহকের বকেয়া দাবি ৩৭ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীকে। গ্রাহকের টাকা দিতে ব্যর্থ হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান আইডিআরএ চেয়ারম্যান।
বিমার টাকা পরিশোধ না করায় সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির চেয়ারম্যান ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বোন অধ্যাপক রুবিনা হামিদের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের দায়ের করা মামলায় ওয়ারেন্ট ইস্যু করেছেন আদালত।
মামলার আসামিরা হলেন- সানলাইফ ইস্যুরেন্স কোম্পানির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রুবিনা হামিদ, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. নূরুল ইসলাম, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আসলাম রেজা, অডিট অফিসার মো. সাইদুর রহমান খান ও কোম্পানি সচিব মো. রবিউল ইসলামসহ আরো দুইজন। তাদের বিরুদ্ধে বিমা সংক্রান্ত ৯টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কুষ্টিয়া জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দৌলতপুর উপজেলার খলিসাকুন্ডি ইউনিয়নের হাকিম জোয়ার্দ্দারের ছেলে বশির আহমেদ, একই এলাকার মো. শামসুর রহমানের ছেলে হাবিবুর রহমান ও মনিরুজ্জামান ডাবলু বাদী হয়ে পৃথক মামলা দায়ের করেন।
ভুক্তভুগিদের অভিযোগ, ১০ বছর মেয়াদী বিমার মেয়াদপূর্তির পর সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি টাকা দিচ্ছে না। মেয়াদপূর্তি হলে একবারে ডাবল (দ্বিগুণ) টাকা দেবে। কিন্তু টাকা না দিয়ে উল্টো হয়রানির স্বীকার হচ্ছেন গ্রাহকরা।
বাদীপক্ষের আইনজীবী আব্দুল মতিন খন্দকার জানান, গ্রাহক প্রতারণায় সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির চেয়ারম্যান ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বোন অধ্যাপক রুবিনা হামিদসহ সাতজনের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট (পরোয়ানা) জারি করেন কুষ্টিয়ার আদালত।
এখন পর্যন্ত আমার কাছে এ সংক্রান্ত মোট ১১টি মামলা আছে। মোট গ্রাহক ৪৯৭ জন। মোট অর্থের পরিমাণ ৯০ লাখ ৬২ হাজার ৯২৬ টাকা। যার মধ্যে নয়টি মামলাতে ওয়ারেন্ট ইস্যু হয়েছে। দুটি মামলা লকডাউনের জন্য স্থগিত আছে। এর মধ্যে ছয়টি মামলার ওয়ারেন্ট চলে গেছে।
তিনি আরও বলেন, ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিদের অফিস রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত। কুষ্টিয়া থেকে বনানী থানায় ওয়ারেন্ট গেলেও তা মান্য করা হয়নি।