সকাল ১১ টায় বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের চাকুরী জাতীয়করণের লক্ষ্যে ২০২১-২০২২ অর্থবর্ষে শিক্ষাখাতে জিডিপির ৫% মোট বাজেটের ২৮.৬২% শতভাগ উৎসব ভাতা, ৪৫% বাড়ি ভাড়া প্রদান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য জোটের উদ্যাগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন হলে অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মোঃ সেলিম ভূইয়ার সভাপতিত্বে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের দপ্তর সচিব অধ্যাপক কাজী মোঃ মাঈনুদ্দীন, পরিচালনা করেন সংগঠনের অতিরিক্ত মহাসচিব মোঃ জাকির হোসেন৷ উপস্থিত ছিলেন মাওলানা মোঃ দেলোয়ার হোসেন, অধ্যক্ষ মোঃ আবদুর রহমান (কুমিল্লা), অধ্যাপক নিজাম উদ্দিন তরফদার (সিলেট), অধ্যাপক তোফাজ্জল হোসেনে বাদল, অধ্যক্ষ সেলিম মিয়া (ফরিদপুর), অধ্যাপক আবদুল আউয়াল (টাঙ্গাইল), আবদুল হাকিম (ঢাকা), আবুল কালাম আজাদ ও আবদুল সাত্তার(ময়মনসিংহ), কামরুন্নাহার লিজি (ঝিনাইদহ), আবদুর রাজ্জাক, রুহুল আমিন, মনিরুজ্জামান, আঃ মালেক আকন্দ (কুমিল্লা), অধ্যক্ষ মাহমুদুল আলম (পাবনা), কারিগরি কলেজ শিক্ষক সমিতির মহাসচিব হারুনর রশীদ গাজী, আঃ কাদির, অধ্যাপক মামুন, আবদুল বাসেদ (টাঙ্গাইল), কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি কামরুজ্জামান মিজান ও মহাসচিব আবিদুল রাজা, মতিউর রহমান (ঢাকা), শাহনাজ পারভীন (ঢাকা মহানগর), মোঃ ইয়াসমিন (ঢাকা মহানগর), অধ্যাপক রাশেদুল ইসলাম (ঢাকা), অধ্যাপক নূর মোহাম্মদ খোকন (নাটোর), অধ্যাপক রিয়াজুল ইসলাম (বগুড়া), জুলেখা বেগম (কুমিল্লা), অধ্যাপক কবির আহমেদ, অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম, অধ্যাপক গোলাম মোহাম্মদ, অধ্যাপক কানিজ ফাতেমা (কুমিল্লা) প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের চাকুরী জাতীয়করণের জন্য জিডিপির ৫% বরাদ্দের জোড় দাবি জানানো হয়। লিখিত বক্তব্যে অধ্যাপক কাজী মাঈনুদ্দীন বলেন, ” চাকুরী জাতীয়করণ এখন সময়ের দাবি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দলীয় করণের কারনে ছাত্র-ছাত্রীরা কাঙ্ক্ষিত শিক্ষা অর্জন করতে পারছে না। শিক্ষকরাও সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী পাঠদানে অক্ষম। ম্যানেজিং কমিটি/গভর্ণর বডি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন৷ অনেক ক্ষেত্রেই তাদের অসৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষকদের উপর বিভিন্ন রকমের হয়রানি ও নির্যাতন করে। আবার কমিটির কথামত প্রতিষ্ঠানের ফান্ড লুটপাট করতে না দিলে প্রধান শিক্ষক/ অধ্যক্ষদের চাকুরীচ্যুত করেন।
তিনি বলেন, চাকুরীর নিরাপত্তা, আর্থিক স্বচ্ছলতা ও সামাজিক মর্যাদা না থাকায় মেধাবী শিক্ষার্থীরা শিক্ষকতা পেশায় আসতে চান না। মেধাবীদের এই পেশায় আকৃষ্ট করতে হলে চাকুরী জাতীয়করণের কোনো বিকল্প নেই৷ তিনি বলেন, সুশিক্ষার জন্য প্রয়োজন জাতীয়করণ। জাতীয়করণের জন্য শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট আসছে অর্থবছরে জিডিপির ৫% এবং জাতীয় বাজেটের অন্তত ২৮.৬২% ভাগ শুধু শিক্ষা খাত বরাদ্দের দাবি জানাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ২০০৪ সালে চার দলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে বেগম খালেদা জিয়া এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষকদের জন্য ২৫% এবং কর্মচারীদের ৫০% উৎসব ভাতা প্রদান করেছেন যা দুঃখজনক হলেও সত্যি বর্তমান সরকার প্রায় ১৩ বছর ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও ১টি টাকাও এই খাতে বৃদ্ধি করেনি।” সংবাদ সম্মেলনে বাড়ি ভাড়া বেতনের ৪৫% প্রদানের দাবি জানান৷
তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে শিক্ষা ব্যবস্থা মারাত্মক বিপর্যয়ের সম্মুখীন। এখনই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে না দিলে এই ক্ষতিপূরণ সম্ভব নয়। অটোপাশে মূল্যায়ন কোনো দেশেই স্বীকৃত পাবে না।”