উপজেলার বালিগাও ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডে ইসলামপুর বাবুর বাড়িতে আবার জমে উঠেছে রমরমা মাদক ব্যবসা। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে মাদকের আসর ।শুধু তাই নয়,মাদকের টাকা জোগাড় করতে গভীর রাতে চলে চুরি-ডাকাতি সহ নানা অপকর্ম । এমনি ঘটনা নিয়ে মাদকের ক্রেতা বিক্রেতাদের সঙ্গে সাধারণ জনতার মধ্যে ঘটেছে ধাওয়া পালটা ধাওয়া। তারই সুত্র ধরে শাহীন খানের বাড়িতে ঘটে হামলার ঘটনা।
ঘটন স্থান গিয়ে জানা যায় মাদকসেবিদের চুরি করে আনা মালামাল কেনে দোকানদার আলামীন। তা আবারও কমদামে কিনে নেয় আঃ কুদ্দুস নামের এক ব্যক্তি । মাদকসেবিদের চুরি করা গ্রামের একটি বাড়ি থেকে টিন আর খুটি চুরির সূত্র ধরেই সংঘর্ষ বাধে ।
উল্লেখ্য, উক্ত এলাকার একদল চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী যাদের বিভিন্ন সময়ে পুলিশ গ্রেফতার করে কোর্টে চালান করলেও কয়েক দিন পরে জামিনে এসে আবার চালিয়ে যায় মাদক ব্যবসা।
পাইকারী ও খুচরা বেচাকেনা চলে এই এলাকার বাবুর বাড়িতে। তার দাবি প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই প্রকাশ এসব অপকর্ম করে সে।
এখানে চারিদিকে রাস্তা তাই পুলিশ এলেই তারা ছটকে পরে তা ছাড়া বিভিন্ন লোক বসবাস করে এ মাঠে তাই তারা প্রতিবাদও করতে পারেনা কারন ব্যবসায়ীরা স্থানীয়।
হামলার ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পরলে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হাজী মোঃ দুলাল ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সম্পাদক চঞ্চল ব্যাপারী ওয়ার্ড মোম্বার ও গন্যমান্য লোকজন বিকেলে উপস্থিত হয়ে চোরাইমাল কুদ্দুস এর ঘর থেকে উদ্ধার করেন।পরে যার মালামাল তাকে ফেরৎ দিতে বলেন।
এ বিষয়ে ভোরের খবর কে জানান, কেউ যদি মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকে বা মাদকের সাথে নিজেকে জড়িয়ে নেয় তবে কঠিন আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।
মজলিসে হামলায় জড়িতদের মধ্যে একই এরাকার ইলিয়াস,সুমস,রিমেল,রামেল সহ অনেক হাজির থাকার কথা থাকলে ও অমান্য করে উপস্থিত দেখা যায়নি। বিষয় এ হাজী মোঃ দুলাল ও চঞ্চল ব্যাপারী বলেন,এলাকা মাদক মুক্ত করতে যে কোন পদক্ষেপ নিতে আমরা প্রস্তুত আছি। আওয়ামীলীগ ইউনিয়ন সভাপতি আওলাদ হোসেন হালদার বলেন বালিগাও এলাকায় চিহ্নিত কিছু মাদক কারবারী এলাকার যুবসমাজ কে ধ্বংশ করছে তাদের প্রতিহত করতে হবে,আইনের আওতায় আনতে হবে।ইউনিয়নকে মাদক মুক্ত করতে চেয়ারম্যান হাজী মোঃ দুলাল উপজেলা আইন শৃঙ্খলা সভায় জোড়ালো আবেদন করেছেন এবং ভবিষ্যতে ও করবে বলে জানান তিনি।