টঙ্গিবাড়ী উপজেলার বেশনাল গ্রামে ভূমিহীন ২ বৃদ্ধকে স্থায়ী বন্দোবস্থ দেওয়া সরকারী জমি দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে স্থানীয় এক ভূমিদস্যু। ভূমিহীন ওই ২ বৃদ্ধ আদালতে মামলা দায়ের করলেও চলছে জোড় করে জমি দখলের পায়তারা।
সরজমিনে গিয়ে জানাগেছে, উপজেলার কামারখাড়া ইউনিয়নের বেশনাল গ্রামের মৃৃত নেকমত আলী বেপারীর দুই ছেলে আলী হোসেন বেপারী (৭০) ও দুহাই বেপারী (৬০) দুই শতাশং করে মোট ৪ শতাংশ সরকারের কাছ হতে বন্দোবস্ত পাওয়া জমি জোরপূর্বক বালু দিয়ে ভরাট করছে একই গ্রামের মৃত আবুল সৈয়ালের ছেলে মোহন সৈয়াল গংরা।
জমির মালিক বৃদ্ধ আলী হোসেন বেপারী ও তার ভাই দুহাই বেপারী কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমাদের কোন জমিজমা ছিলোনা। প্রায় ২৮ বছর আগে বাংলাদেশ সরকার আমাদের দুই ভাইকে দুই শতাংশ করে মোট ৪ শতাংশ জমি ৯৯ বছরের জন্য স্থায়ী বন্দোবস্ত দেয়। সেই জমিতে দীর্ঘদিন যাবত আমরা বসবাস করছি। কিন্তু আমাদের গ্রামের প্রভাবশালী ভূমিদস্যু মোহন সৈয়াল জোড় করে বালি ফেলে সরকারের দেওয়া জমিটি দখল করে নিচ্ছে। এ নিয়ে আগে আমরা আদালতে মামলা করি। এখনো এই মামলাটি আদালতে চলমান আছে।
পরে গত ৫ জুন তারিখ থেকে মোহন সৈয়াল গভীর রাতে চুপিসারে আমাদের জমিতে ড্রেজার স্থাপন করে বালু দিয়ে ভরাট করে। আমরা বাধা দিলে মোহন সৈয়াল আমাদের হুমকি ধামকি প্রদান করে। পরে আমার ভাই দুহাই বেপারী বাধ্য হয়ে দিঘিরপাড় তদন্ত কেন্দ্রে অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মোহন সৈয়াল জানান, এই জমি আমি কিনেছি। তাই ভরাট করছি। আদালতে মামলা এখনো নিষ্পত্তি হয়নি সেই বিবাদমান জমিতে আপনি বালু দিয়ে ভরাট করতে পারেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন অল্প কিছু বালু তাদের জমিতে গেছে। আমি বাশ কিনেছি সেখানে বেড়া দিয়ে দেব।
কামারখাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন হাওলাদার জানান, বিষয়টি বর্তমান দখলদাররা আমাকে জানিয়েছে। আমি মোহন সৈয়ালকে ড্রেজার বন্দ রাখতে বলছি। টঙ্গিবাড়ী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) পারভীন খানম জানান, খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।