বুধবার (১৬ জুন) সকালে আশুলিয়ার শিমুলতলায় মুক্তা মীরের বাড়ির দেয়াল ধসে এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহত পারভীন আক্তার প্রিয়া (২৪) তিনি কুড়িগ্রাম জেলার বুরুঙ্গামারী থানার বোটহাট গ্রামের জামাল উদ্দিনের মেয়ে।
তিনি ওই এলাকার রতন খাঁ বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। তিনি স্থানীয় প্রাইম ক্যাপ বিডি লিমিটেড চাকরি করতো।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, সকালে ঘুমিয়ে ছিলাম আচমকা শব্দ হওয়ায় আমাদের সবার ঘুম ভেঙে যায়। পরে আমরা বাহিরে এসে দেখি যে মুক্তার মীরের বাউন্ডারি করা, মেসার্স মেহেদী এন্টারপ্রাইজের অধিক মাত্রাই ইট-বালি রাখায় দেওয়াল ধসে পড়ে। পরে স্থানীয়রা দেখতে পাই দেওয়ালের নিচে কে যেনো চাপা পড়ে আছে। পরে ট্রাকের ড্রাইভার ও ম্যানেজার দেওয়ালের নিচে চাপা পড়া পারভীন আক্তার প্রিয়াকে টেনে বের করে স্থানীয় নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তবরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডেপুটি ম্যানেজার হারুনুর রশীদ জানান, সকালে প্রিয়া নামে একজন নারী পোশাক শ্রমিককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিয়ে আসা হয়। তার একটি পা ভেঙ্গে যায় এবং বুকে আঘাতের কারনে মৃত্যু হয়।
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এস আই)তানিম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের সাথে কথা বলেছি তারা কোন অভিযোগ করেনি। তবে লাশের স্বজনরা ময়নাতদন্ত ছাড়াই গ্রামে নিয়ে যেতে ইচ্ছুক । এজন্য উপর থেকে পরবর্তী নির্দেশ আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করছি। তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সানোয়ার মীর ও ইমরান মীরকে সরাসরি টাকা দিয়ে লাশের আত্মীয়-স্বজনের সাথে দফারফা করতে দেখা গেছে।