ঢাকার শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার বেশ কিছু চিহ্নিত এলাকাতে প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে উঠতি বয়সী ছেলেদের অপরাধ মূলক কর্মকান্ড। অনুসন্ধানী রিপোর্ট প্রস্তুতে সম্মুখীন হতেও হয়েছে নানা জটিলতায়। এসব উঠতি বয়সী কিশোরদের মাঝে সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রবাদী হয়ে গড়ে উঠার পেছনে রয়েছে কয়েকটি কারণ। তবে অভিভাবকরা করোনাকালীন সময়ে স্কুল,কলেজ বন্ধকে দুষলেও ডিজিটাল মাধ্যমের মোবাইল এপস টিকটক ও লাইকির উগ্রতাপন্থী ভিডিও ধারণকেও কিশোরদের মস্তিষ্কের বিকাশ ধ্বংসের কারণ হতে পারে ধারণা অনেকেরই।
এর মাঝে আশুলিয়ার বেশকিছু অঞ্চলে কিশোর গ্যাংয়ে পরিণত হওয়া কিশোরদের দ্বারা প্রতিনিয়ত ঘটছে চুরি,ছিনতাই সহ মারামারি। মাদকে আসক্ত হয়ে এসব কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা প্রতিনিয়তই করছে অসামাজিক কাজ৷
তার মধ্যে আশুলিয়ার জামগড়া,ঘোষবাগ,জিরাবো,পুকুরপাড়, বাগানবাড়ি (ফকিরবাড়ী মাঠ,মুন্সীবাড়ী মাঠ,বাগানবাড়ি বাঁশবাগানের আশেপাশে),আশুলিয়া (বাজার থেকে ৫ কিলোমিটার ভেতর, চারাবাগ) কাঠগড়া দূর্গাপুর এলাকাতে এসব গ্যাংয়ের উপদ্রব বেড়েই চলছে।
এ বিষয়ে জিরাবো বাগানবাড়িতে বসবাসরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গার্মেন্টস শ্রমিক বলেন, আমি বেতন তুলে রাত ১০ টায় ছুটি হওয়ার পড়ে বাসায় ফিরছিলাম সামনে থেকে চেনাজানা একটা ছেলে এসে এসেই বলল দাঁড়া ওখানে আমরা থাকি বসে তুই প্রস্রাব কেন করলি? এরপর দুইটা থাপ্পড় দিয়ে টাকা ফোন ছিনিয়ে নিল।
অভিযোগ শুনলে যেন শেষ নেই। নারী শ্রমিকদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানি। প্রকাশ্যে হুমকি ধামকি ও দেওয়া হয়।
এসব এলাকা থেকে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের উৎখাত করে এলাকায় মাদক,সন্ত্রাস ও কিশোর গ্যাংয়ের তৎপর থেকে বাঁচতে সংশ্লিষ্ট মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল।