কেএম সবুজঃ পাবনার বেড়া থানার অর্ন্তগত শম্ভুপুর গ্রামে এক গৃহবধুকে তার স্বামী দ্বারা হত্যার অভিযোগ উঠেছে । এ সময় অভিযুক্ত রাকিবুল ইসলাম (২৪) কে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। জানা যায়,পাবনার বেড়া থানাধীন শম্ভুপুর গ্রামের আব্দুল কাদেরের মেয়ে ফাতেমার (২১) সাথে প্রায় দু বছর আগে বিয়ে হয় পাশ্ববর্তী সাঁথিয়া থানার অর্ন্তগত ফেচুয়ান গ্রামের চাঁদু শেখের ছেলে রাকিবুলের(২৪) সাঙ্গে।
কিন্তু বিয়ের পর থেকেই রাকিবুলের পরকীয়ার জের ধরে দুজনের মাঝে মধ্যেই বাকবিতন্ডা হতো । এ নিয়ে একাধিকবার পারিবারিক ভাবে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সালিশ ও করা হয়েছে। সম্প্রতি রাকিবুল তার কর্মস্থল থেকে দুই মাসের ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসে। গৃহবধু ফাতেমার সাথে আবারও বাকবিতন্ডায় জড়ালে ফাতেমা বেড়ার শম্ভুপুরের বাবার বাড়িতে চলে যায়।
এরপর রাকিবুল কৌশল নিয়ে বাবার বাড়িতে থাকা অবস্থায় ফাতেমার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ বাড়িয়ে গত বৃঃহস্পতিবার ভোরে দেখা করার কথা বলে সাঁথিয়া থানাধীন তলট গ্রামের নির্জন এলাকায় এনে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে পাশের ইছামতী নদীর কচুরিপানার ভেতরে লাশ লুকিয়ে রাখে। এদিকে, গৃহবধু ফাতেমা (২১) কে খুঁজে না পাওয়া গেলে তার বাবা আব্দুল কাদের বেড়া মডেল থানায় একটা সাধারণ ডায়েরি করেন। যার সূত্র ধরে পুলিশ তার স্বামী রাকিবুলকে থানায় ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বেড়িয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। এ বিষয়ে ওই গৃহবধুর ভাই গণমাধ্যমকে বলেন, মোটা অঙ্কের যৌতুক দিয়ে বোনকে বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বিয়ের পর থেকেই নানা নির্যাতনের কারণে একাধিকার সালিশ করা হয়েছে।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমার বোনকে বাঁচাতে পারলাম না। হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই। এ প্রসঙ্গে, পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম গণমাধ্যমকে জানান, সন্দেভাজনের কারণে রাকিবুলকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে জানা যায় সে তার স্ত্রীকে বাবার বাড়ি থেকে ডেকে এনে হত্যা করে লাশ গুম করার উদ্দেশ্য কচুরিপানার ভেতরে লুকিয়ে রাখে। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ পাবনা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। গৃহবধু ফাতেমার স্বামী রাকিবুলকে আসামি করে একটা হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।