শুক্রবার মায়ানমার-থাইল্যান্ড সীমান্তে সালউইন নদীর কাছে সেনাবাহিনীর একটি ঘাঁটিতে হামলা চালায় বিদ্রোহী সংগঠন কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন-এর সামরিক শাখা কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি। কয়েক রাউন্ড গুলির পর প্রায় বিনাযুদ্ধে সেনা ঘাঁটিটি দখল করে সংখ্যালঘু কারেন সম্প্রদায়ের বিদ্রোহী সংগঠনটি।
এই ঘটনার কয়েকদিন আগে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে সরকারি বাহিনীর আরও একটি ঘাঁটি দখল করে জ্বালিয়ে দেয় কারেন বিদ্রোহীরা। ফলে রীতিমতো চাপে পড়েছে সামরিক জান্তা।
মিয়ানমারের কারেন প্রদেশে দীর্ঘদিন ধরেই স্বশাসনের দাবি জোরালো হচ্ছে। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে অং সান সু চি’র সরকার ক্ষমতায় আসার পর আলোচনার টেবিলে এসেছিল সংগঠনটি। কিন্তু সেনা অভ্যুত্থানের পর আলোচনা ভেস্তে যায়। কারেন বিদ্রোহীদের উপর লাগাতার বিমান হামলা চালাচ্ছে সরকারি সেনারা। ফলে দেশটিতে গৃহযুদ্ধের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৭০০জন গণতন্ত্রকামী।
এদিকে মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে। বিশেষ করে গত একদিনে শতাধিক আন্দোলনকারীকে হত্যার পর থেকেই মিয়ানমারের প্রত্যন্ত এলাকার গেরিলা বাহিনীগুলো সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গোপন প্রতিরোধ শুরু করেছে। ২০ বা তার বেশি সশস্ত্র গেরিলা বাহিনী গর্জে উঠেছে জান্তার বিরুদ্ধে।