সারাদেশের খাল বিল, নদী নালা, হাঁওর বাঁওর ও মাঠে-ঘাটে এসেছে নতুন পানি। পানি আসার সাথে সাথে দেশীয় প্রজাতির মাছ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। কিছু কিছু প্রজাতির মাছে ডিম এসেছে। দেশীয় প্রজাতির মাছ জুন জুলাইতে ডিম ছাড়ে। মৎস্য শিকারী ও জেলেরা মহানন্দে মাছ ধরতে নেমে পড়েছেন। বিভিন্ন প্রকার জাল যেমন ভেসাল জাল, বাধাই, কারেন্ট জাল, ঠেলা জাল, ঝাঁকি জাল দিয়ে মাছ শিকার করছেন তারা। কিছু কিছু মৎস্য শিকারী চল, টেটা, কোঁচ দিয়ে মাছ শিকার করেন। তাদের শিকারের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে ডিমওয়ালা মা মাছ।
কৈ মাছের ডিম এক বছর পরে ফুটে। এই সময়ে নতুন পানিতে কই মাছের ডিম থেকে পোনা ফোটে।ভেসাল জাল দিয়ে এই পোনা গুলি অবাধে নিধন করা হয়। শুকনো মৌসুমে বোরো ফসল উৎপাদনের জন্য খাল-বিল, হাঁওর-বাঁওড় ও পুকুরের পানি সেচ করা কারণে দেশীয় প্রজাতির মাছের ব্যাপক ধ্বংস হচ্ছে। যে সমস্ত ডিম মাটির সাথে মিশে থাকে একবছর পরে ফোটে সেই সমস্ত ডিম বোরো ফসলে কীটনাশক ও সার প্রয়োগের কারণেও অনেকাংশে নষ্ট হয়ে যায়। জেলেদের জালেও অনেক ডিম নষ্ট হয়।
এসময়ে শিং-মাগুর, পাবদা, বাতাসি, পূঁটি, শোন, বোয়ালের মধ্যে ডিম আসে। সারাদেশের হাট বাজারে দেশীয় প্রজাতির মাছ ও ডিমওয়ালা মা মাছ অবাধে বিক্রি হচ্ছে। অপরিকল্পিতভাবে দেশীয় প্রজাতির মাছ নিধনের কারণে অনেক প্রজাতি বিলুপ্ত, কিছু প্রজাতি বিলুপ্তপ্রায়।
এ বিষয়ে রাষ্ট্র সঠিক নীতিমালা তৈরি করে স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে দেশীয় প্রজাতির মাছ যখন-তখন যত্রতত্র নিধন বন্ধ করা জরুরী। পুরনো ১৯৫০ সালের নীতিমালা সময় উপযোগী করতে হবে। পুরোনো নীতিমালায়ও যদি স্থানীয় প্রশাসন সঠিক পদক্ষেপ নেন তাহলে মিঠাপানির সুস্বাদু মাছের অভাব হবে না। স্থানীয় প্রশাসন যেমন ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভাকে কাজে লাগিয়ে জনগনকে সচেতন করতে হবে।
"বেঁচে থাকলে মা মাছ
আমিষ পাবো বারো মাস"।
লেখক- ওমর ফারুক পাটোয়ারী
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ এ্যাড. নজরুল ইসলাম । ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দৈনিক ভোরের খবর,খন্দকার এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান। অফিসঃ ১৫০ নাহার ম্যানসন (৫ম তলা) মতিঝিল বানিজ্যিক এলাকা,ঢাকা -১০০০। বার্তাকক্ষ-+৮৮০১৭৪৫-৩৫৪২৭৭