ঢাকাবুধবার , ১৯ মে ২০২১

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১৪২৭টি স্থানে ক্যামেরা স্থাপনের উদ্যোগ


মে ১৯, ২০২১ ৭:১৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কজুড়ে এক হাজার ৪২৭টি ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা বসানো হবে। মহাসড়কের ৪৯০টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এই ক্যামেরা স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রায় দেড় হাজার ক্যামেরা বসানো এবং আনুষঙ্গিক কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে ১২৯ কোটি ২২ লাখ টাকা।

বুধবার ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিতব্য সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য উত্থাপন করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এই বৈঠকে সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন।

জানা গেছে, হাইওয়ে পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং ডিজিটাল মনিটরিং সিস্টেম স্থাপন করার মাধ্যমে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা উন্নত করার জন্য ‘হাইওয়ে পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় সিসিটিভি স্থাপন করার উদ্যোগ নেয়া হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ১২৯ কোটি ২২ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০২১ সালের জুন মেয়াদে ২৪৪ কোটি ২১ লাখ টাকা ব্যয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ ‘হাইওয়ে পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক প্রকল্পটি হাতে নেয়। প্রকল্পটি ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় অনুমোদনও করা হয়।

প্রকল্পের সার-সংক্ষেপে উল্লেখ করা হয়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যাত্রী সাধারণের নিরাপত্তা বৃদ্ধি, যানচলাচল নির্বিঘœ করার লক্ষ্যে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে সার্ভিল্যান্স সিস্টেম প্রবর্তনের লক্ষ্যে প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ৪৯০টি স্থানে ১৪২৭টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো হবে। ক্যামেরাগুলোর মাধ্যমে মহাসড়কে সার্বক্ষণিক নজরদারি করা সম্ভব হবে। প্রকল্পের আওতায় হাইওয়ে পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে হাইওয়ে ডিজিটাল মনিটরিং সিস্টেম (ক্যামেরা, কম্পিউটার, সফটওয়্যার এবং আনুষঙ্গিক যন্ত্রাংশ) সংগ্রহ এবং তাদের অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স, ৩০টি মোটর যানবাহন, অন্যান্য যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম কেনার সংস্থান রয়েছে।

সূত্র জানায়, প্রকল্পটি সম্পূর্ণ সরকারের অর্থায়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের আরএডিপিতে প্রকল্পটির অনুকূলে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ক্রয়কার্যক্রমে অবশিষ্ট অর্থ পরবর্তী বছরের এডিপিতে জোগান দেয়া হবে।

জানা গেছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে গত ২০২০ সালের ১২ জুলাই দরপত্র আহ্বান করা হলে ৪৩টি দরপত্র বিক্রি হয়। তবে শেষ পর্যন্ত ৫টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি বেশ কয়েকটি সভা করে। দরপত্র দাখিলের সর্বশেষ তারিখে ‘ওয়ান স্টেজ টু এনভেলপ’ পদ্ধতিতে পাওয়া দরপত্রগুলো কারিগরি নির্দেশনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না তা যাচাই করা হয়। এই লক্ষ্যে গঠিত টেকনিক্যাল সাব কমিটি গত ২০২০ সালের ১৯ আগস্ট পাওয়া দরপত্র ও দরপত্রের কারিগরি বিষয়ে প্রস্তুতকরা তুলনামূলক বিবরণী পর্যালোচনা করে। কারিগরি মূল্যায়ন কমিটিতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন বিশেষজ্ঞ অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।

দরপত্রে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ছিল ইজি অটোমোবাইল লিমিটেড, যৌথভাবে সামিট কমিউনিকেশন লিমিটেড ও বেক্সিমকো কম্পিউটার লিমিটেড, ফাইবার হোম লিমিটেড, যৌথভাবে ডেভেলপমেন্ট ডিজাইন কনসালট্যান্টস লিমিটেড ও কম্পিউটার ওয়াল্ড বিডি, যৌথভাবে স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লিমিটেড ও ডিজিকন টেকনোলজিস লিমিটেড টেকনিক্যালি রেসপন্সিভ হয়। কিন্তু চূড়ান্ত মূল্যায়নে যৌথভাবে স্মার্ট টেকনোলজিস লিমিটেড ও ডিজিকন টেকনোলজিস লিমিটেডের দরপ্রস্তাব সার্বিক মূল্যায়নে রেসপন্সিভ হিসেবে বিবেচিত হয়।

পরবর্তীতে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে টেকনোলজিস লিমিটেড ও ডিজিকন টেকনোলজিস লিমিটেডের দরপ্রস্তাব গ্রহণযোগ্য বলে ঘোষণা করে প্রকল্পটি তাদের দিয়ে বাস্তবায়নের জন্য সুপারিশ করে। আজ ক্রয় প্রস্তাবটি অনুমোদন করা হলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করা হবে বলে জানা গেছে।

✅ আমাদের প্রকাশিত কোন সংবাদের বিরুদ্ধে আপনার অভিযোগ  বা পরামর্শ থাকলে ই-মেইল করুনঃ dailyvorerkhabor@gmail.com ❌ বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।