করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ভয়াবহ পরিস্থিতির কারণে ভারতে আরো ১৪ দিন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারিসহ বিভিন্ন শর্ত দিয়েছে বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে বেনাপোলসহ সকল স্থলপথে চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন কার্যক্রম। তবে বন্ধ হয়নি দু’দেশের মধ্যে মানুষের যাতায়াত। ছাড়পত্র আছে এমন পাসপোর্টধারী যাত্রীরা প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত দু’দেশের মধ্যে যাতায়াত করতে পারছেন।
গত ১৩ দিনের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ভারত থেকে দেশে ফিরেছেন আড়াই হাজারের বেশি যাত্রী। তাদের মধ্যে ১৭ জন করোনা বা কোভিড-১৯ পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। এতে বেনাপল বন্দর এলাকায় কিছুটা আকঙ্ক তৈরি হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।
নিষেধাজ্ঞায়ও বন্ধ হয়নি বন্দর বেনাপোল বন্দর সূত্রে জানা গেছে, প্রথম নিষেধাজ্ঞার পর শনিবার পর্যন্ত ১৩ দিনে ভারত থেকে বাংলাদেশে ফিরেছেন দুই হাজার ৫৬০ জন বাংলাদেশী। তাদের মধ্যে ১৭ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। এসব যাত্রীরা ভারতে গিয়ে আক্রান্তের শিকার হয়েছে বলে স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়। আক্রান্ত ওই যাত্রীরা বর্তমানে স্বাস্থ্য বিভাগের তত্ত্বাবধানে যশোর করোনা রেড জোনে রয়েছে।
যশোরের শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার ইউছুফ আলী জানান, করোনা আক্রান্ত যাত্রীদের যশোর সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটের রেড জোনে রাখা হয়েছে। অন্য যাত্রীদের বেনাপোল, যশোর, খুলনা ও সাতক্ষীরার বিভিন্ন আবাসিক হোটেলের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। জটিল বা মুমূর্ষ রোগীদের হাসপাতালের কোয়ারেন্টিনে সুযোগ দেয়া হচ্ছে।
বেনাপোল চেকপোস্ট বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিলন হোসেন জানান, ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট দেশে প্রবেশ করেছে। এতে বন্দর এলাকাবাসীর মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি যদি নিয়ন্ত্রণ করা না যায় তবে ফলাফল মারাত্মক ভয়াবহ হতে পারে।