টঙ্গিবাড়ী (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি: গত ৬বছর আগেও সুবচনী বাজারে মাসিক ৩ হাজার টাকা বেতনে চাকুরী করতো টঙ্গিবাড়ী উপজেলার আউটশাহী ইউনিয়নের কাইচাইল গ্রামের আ. রশিদ হালদারের এর ছেলে নজরুল ইসলাম। বিগত প্রায় ১০ বছর আগে ধর্ষণের অভিযোগে হাজত খেটে বের হণ তিনি। এছাড়াও বিগত জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ক্লাব পোড়ানের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। ৪/৫ বছর আগে মালয়শিয়া হতে স্বর্ণ চোরাচালানের ব্যবসা করতেন তিনি। জানাগেছে, উপজেলার কাইচাইল গ্রামের মৃত হত দরিদ্র দিন মজুর রশিদ হালদারের ছেলে নজরুল এক সময় বাবার সাথে দিন মজুরের কাজ করতো । পরে বিগত প্রায় ৬ বছর আগে সুবচনী বাজারে ৩ হাজার টাকা মাসিক বেতনে স্থাণীয় একটি মাল্টিপারপাস কোম্পনিতে চাকুরী নেন তিনি। কিন্তু এখোন সে কোটি কোটি টাকার মালিক। দামি গাড়ি চড়ে ঘুরে বেড়ায় সে। টাকার জোড়ে কোন নিময় নীতির তোয়ক্কা করেন না তিনি। বিপুল অর্থে বলে বিগত ইউপি নির্বাচনে জয়লাভ করে হয়েছেন আউটশাহী ইউপি ৯নং ওয়ার্ড সদস্য। কিন্তু ইউপি সদস্য হয়েও অনিয়মের রাজস্ব কায়েম করেছেন তিনি। সম্প্রতি উপজেলার সুবচনী বাজার হতে কাইচাইল গ্রাম পর্যন্ত ৩২শত ফিট রাস্তায় কাবিটা (কাজের বিনিময়ে টাকা) প্রজেক্ট হতে হত-দরিদ্র মানুষদের দিয়ে কাজ করানোর শর্তে ২ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয় । কিন্তু সে রাস্তার টাকা আতœসাৎ করার জন্য শ্রমিক দিয়ে কাজ না করিয়ে বেকু মেশিন (মাটি খনন যন্ত্র) দিয়ে কাজ করিয়া টাকা বাচিঁয়ে আতœসাৎ করার পায়তারা করছে সে। এছাড়াও টাকা বাচাঁনোর জন্য ওই রাস্তায় প্রায় ৫ বছর আগে মুন্সিগঞ্জ জেলা পরিষদ হতে বিছানো ইট ঠিকমতো না তুলে কিছু ইট তুললেও তা রাস্তার পাশে ফেলে বেকু দিয়ে ইটগুলোকে মাটিচাপা দিচ্ছে সে। এ ব্যাপারে আউটশাহী ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন প্রতিবাদ করলে তাকে ১ কোটি টাকা ব্যায়ে হত্যার হুমকি দিচ্ছে সে। আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে গতকাল শনিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এর আগেও বৃহস্পতিবার রাতে সে টঙ্গিবাড়ী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
শুধু তাই নয় বেকু মেশিন দিয়ে কাজ করতে গিয়ে ওই এলাকার মানুষের রাস্তার পাশে লাগানো গাছপালা নির্বিচারে কর্তন করে নজরুল। তার বিরুদ্ধে ওই এলাকার জয়নাল কাজি, রফিক দেওয়ান, রমাই দেওয়ান, সোলাইমান দেওয়ান, বাবুল দেওয়ান, কাদির সেখ গংরা নির্বিচারে তাদের গাছ কাটার অভিযোগ করেছেন। এ ব্যাপারে ওই এলাকার এনামুল হক জানান, কয়েক বছর আগেও নজরুল একটি মাল্টিপারপাসে চাকুরী করতো। ওই মাল্টিপারপাসে টাকা নিয়ে ওর সাথে ঝামেলা হয়েছিলো । এ নিয়ে বিচার হলে আমি ওই বিচারে ছিলাম। সাংবাদিকরা তার অপকর্মের বিষয়ে জানতে চাওয়ায় বিক্রমপুর টঙ্গিবাড়ী প্রেসক্লাবের একাধিক সাংবাদিককে তিনি লঞ্চিত করেছেন এবং হুমকি দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত নজরুল ইসলামকে মেঠো ফোনে ফোন করলে সে জানায়, আপনি এসে রাস্তার কাজ করে যান বলে ফোন কেটে দেন। পরে তিনি এক প্রভাবশালী মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলরকে দিয়ে প্রতিবেদককে ফোন করান।
এ ব্যাপারে টঙ্গিবাড়ী উপজেলা পরিষদের সচিব মাসুদ রানা জানান, ওই রাস্তাটির জন্য যে টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে তা কাবিটা প্রজেক্টের। এই পজেক্টের কাজ সাধরনত শ্রমিক দিয়ে করাতে হয়।
এ ব্যাপারে টঙ্গিবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা পারভীন জানান, মাটি কেটে ইট ঢাকার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।