কেএম সবুজঃ আশুলিয়ার জামগড়া স্টান হাউজিং এলাকায় অগ্নিকান্ডে ৮টি রুম পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বাড়ির মালিকের অভিযোগ পূর্ব শত্রুতার জেরেই আগুন লাগানো হয়েছে তার ভাড়া বাড়িতে। তবে ঘটনার পর থেকেই তার বাড়ির ০৩ নাম্বার রুমের ভাড়াটিয়া মোরসালিন পলাতক রয়েছে। ঘটনার ২ দিন পরে ভাড়াটিয়া মোরসালিনের “স্ত্রী”র সাথে দেখা হলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।
মোরসালিনের স্ত্রী বলেন, তারা রান্নার কাজে ব্যবহারের জন্য স্থানীয় আব্দুল হাইয়ের মুদি দোকান থেকে একটি গ্যাস সিলিন্ডার ক্রয় করেন। এরপর মেয়াদউর্ত্তীণ সিলিন্ডারে লিকেজ থাকায় গ্যাস বের হতে দেখা যায় তারপর দোকান্দার আঃ হাইকে অবহিত করলে বিষয়টি সে আমলে নেননি। বরং লিকেজ গ্যাসের সিলিন্ডার ব্যবহার করতে বলে । অবশেষে, লিকেজ সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করতে গিয়ে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়ে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তারপর ইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের ২ টি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানায় ০১/ মোরসালিন ও ০২/ আঃ হাইকে উল্লেখ্য করে এসআই সামিউলের অধীনে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
প্রত্যাক্ষদর্শী, আসলাম সাংবাদিকদের জানান, আগুন লাগার কিছুক্ষণ আগে থেকেই একটি লিকেজ গ্যাস লিলিন্ডার নিয়ে বার বার ঠিক করার চেষ্টা করছিল মোরসালিন। তার আধাঘন্টা পরে অর্থ্যাৎ রাত আনুমানিক ৮টার দিকে বিদ্যুৎ না থাকা অবস্থায় আগুনের শিখা জ্বলে উঠলে আমরা বাড়ির মালিক ওমর ফারুককে মুঠোফোনে জানিয়ে আগুন নিভানোর প্রচেষ্টা চালাই।
বাড়ির মালিক ওমর ফারুক সাংবাদিকদের জানান, আগে থেকেই অভিযোগে উল্লেখিত ০২ নং ব্যক্তি আঃ হাই বিভিন্ন ভাবে আমার ক্ষতি সাধন করে আসছিল। যা এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ প্রসাশনকে অবহিত করা আছে।
আমার বাড়ির আগুনের বিষয়টিও আঃ হাই তার নিজস্ব বুদ্ধিমত্তা থেকেই করেছে। এজন্য আমি প্রসাশনের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।
উল্লেখ্য, ওমর ফারুকের বাড়ি ঢাকার আশুলিয়ার জামগড়া সরকার মার্কেট এর স্টান হাইজিং এলাকায় । সে মৃত, সুলতান মন্ডলের ছেলে।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ এ্যাড. নজরুল ইসলাম । ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দৈনিক ভোরের খবর,খন্দকার এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান। অফিসঃ ১৫০ নাহার ম্যানসন (৫ম তলা) মতিঝিল বানিজ্যিক এলাকা,ঢাকা -১০০০। বার্তাকক্ষ-+৮৮০১৭৪৫-৩৫৪২৭৭