বিশেষ প্রতিনিধীঃ
ধরা যাবে না, ছোয়া যাবেনা, বলা যাবেনা কথা, রক্ত দিয়ে পেলাম আমি এ কেমন স্বাধীনতা।
প্রথমেই আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করে নিচ্ছি।
স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তীতে দেশবাসীকে জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
তবে, দুঃখের সাথে আবার সমবেদনা ও জানাচ্ছি। সেই পরিবারগুলোর প্রতি। আজ যাদের পরিবারের একটা সদস্য চিরতরে চলে গেছে না ফেরার দেশে।।
পেশাদারিত্বের কাজে বিগত কয়েক বছর সংবাদ সংগ্রহ করতে স্বাধীনতা দিবসের সময় সাভারের জাতীয় স্মৃতিশৌধে যাই। সেখানে শিশু-কিশোর, বৃদ্ধ সহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষের বাধ ভাঙ্গা আনন্দ দেখে মনে হতো দেশের জন্য যে ত্রিশ লক্ষ মুক্তিযুদ্ধ আত্মত্যাগ করেছিলেন তা স্বার্থক হয়েছে।
সূর্যের রশ্মির সাথে লাল সবুজের নিশান যখন মনের সুখে দোলা দিয়ে জানান দেয় স্বাধীনতার উচ্চারণ।
আজ আমাদের স্বাধীনতার ৫০ বছর অর্থ্যাৎ সূবর্ণজয়ন্তীতে উচ্ছ্বসিত হওয়ার কথা অলিতে-গলিতে। আনন্দে মুখরিত হওয়ার কথা শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে বৃদ্ধ সহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ।
কিন্তু সেই জয়ন্তী একান্ত একটি পক্ষ, গোষ্ঠী বা দলের ইন্দনে চলে গেল!
আজ সকালে ফুলের তোরা নিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে দেওয়া হয়নি সাধারণ জনগণকে। কারণ, কঠোর নিরাপত্তা, বাহ, আনন্দ।
যেখানেই হোক,যেভাবেই হোক আজ সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন ৫ জন। দফায় দফায় সংঘর্ষ।
না আমরা তো এমন সুবর্ণজয়ন্তী চাইনি।
আমরা চেয়েছিলাম প্রতি বছরের থেকে এবার আমাদের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন হবে ব্যতিক্রম ভাবে। কিন্তু সেই ব্যতিক্রম এই নয় যে রক্তের কোন একক রাজনৈতিক দল তাদের ইচ্ছামত অপশক্তি ব্যবহার করে সকল শ্রেণী পেশার মানুষের কন্ঠরোধ করে একক নিয়মে পরিচালিত করবে।
এর জন্য কি স্বাধীনতা অর্জন?
আমাদের দেশ,আমাদের স্বাধীনতা, আমাদের অধিকার, আমাদের সার্বভৌমত্ব কি কোন একক পরিবার গিরে?
র্যাব,পুলিশ, সাংবাদিক, ছাত্র,জনতা,দিন মজুর, আনসার, ড্রাইভার, সহ সকল শ্রেণীর মানুষের অধিকার স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের মূলে আজ কি যথাযথ ছিল?
সুস্থ মস্তিষ্ক থাকলে কেউ নেগেটিভ নিবেন না।
(বিঃদ্রঃ কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করতে বা কোন দলীয় করণে এই লেখাগুলো নয়, সচেতন নাগরিক হিসেবে সুস্থ বিবেকের প্রতিফলিত শব্দ বটে)