কেএম সবুজঃ ঢাকার আশুলিয়ার কাঠগড়া পালোয়ান পাড়ায় গত ২৩ শে ফ্রেব্রুয়ারী অপহরণের স্বীকার হয় শিশু মোহাম্মাদ আলী(৬)। এরপর বিভিন্ন জায়গায় খোজাখুজি শেষে শিশুটির মায়ের মুঠোফোনে অপরপ্রান্ত থেকে দাবী করা হয় ১৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ। এরপর আশুলিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয় যার নং ১৬৪৬। একের পর এক শিশুটির প্রাণ নাশের হুমকি আর মুক্তিপণের টাকার অঙ্ক যখনই ভারী হতে থাকে তখনি আশুলিয়া গণমাধ্যম কর্মী শামীম আহম্মেদ, কেএম সবুজ, হেলাল শেখ,আলতাফ হোসেন এর সহায়তায় র্যাব-৪ এর সিপিসি ২ এর সহযোগিতা নেওয়া হয়। সবশেষে, র্যাব-৪ এর অভিযানিক চৌকস দল র্যাব-৭ এর সহায়তায় শিশু মোহাম্মাদ আলী (৬) কে চট্রগ্রামের হাটহাজারী থানাধীন সেকেন্দার কলোনী এলাকা থেকে বিশেষ অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করে অপহরণকারী চক্রের ২ জনকে গ্রেফতার করে। এর মধ্যে পলাতক রয়েছে অপহরণ চক্রের মূল হোতা সোহান। গ্রেফতারকৃত আসামীদের মধ্যে লক্ষীপুরের জাকির (২১), ময়মনসিংহ জেলার শান্ত মিয়া(২৯)।
উল্লেখ্য, অপহরণকারী মূলত মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্য শিশুটিকে অপহরণ করে। মূলহোতা সোহান প্রথমে শিশুটিকে চিপস ও খেলনা কিনে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে কাঠগড়ার পালোয়ান পাড়া থেকে আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুৎ নামক স্থানে নিয়ে যায়। এরপর জিএনজি যোগে সায়েদাবাদ গিয়ে দূরপাল্লার বাস দিয়ে চট্রগ্রামের হাটহাজারী থানাধীন সেকেন্দার কলোনী এলাকায় অপহরণকারী জাকিরের চাচার বাসায় আটকে রেখে ১৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে।
সবশেষে র্যাবের অভিযানে শিশুটিকে জীবিত উদ্ধার ও অপহরণকারী চক্রের দু জনকে গ্রেফতার করা হয়।